মুহাম্মদ হাবীবুল্লাহ হেলালী ::
প্রায় এক যুগ ধরেই ঝুঁকিপূর্ণ ও জরাজীর্ণ ভবনে চলছে আমবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের কার্যক্রম। ভবনের বিভিন্ন স্থানে ফাটলসহ পলেস্তারা উঠে গেছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই ওই বিদ্যালয়ের ফ্লোর পানিতে ডুবে যায়। দীর্ঘদিন ধরে এই বেহাল অবস্থা বিরাজ করলেও ভবনটি সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এ অবস্থায় জরাজীর্ণ ভবন দ্রুত অপসারণ করে নতুন ভবন নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে, করোনাকালীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও পুনরায় কার্যক্রম শুরু হলে আবারও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের ক্লাস করতে হবে। এই বিদ্যালয়ে বিকল্প ভবনে পাঠদানের সুযোগও নেই। শিক্ষার্থী তুলনায় একাডেমিক ভবন নেই।
জানা যায়, আমবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬৭ সালে ৬ কক্ষ বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করা হয়। এ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ১২৫৮ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। ওই ভবনের ঢালাই ভেঙে বিভিন্ন স্থানে রড বের হয়ে গেছে। বর্তমানে ভবনের প্রতিটি জয়েন্টে ফাটল দেখা দিয়েছে। যে কোনও সময় ওই ভবনটি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামান আহাম্মদ বলেন, বিদ্যালয় পুরাতন ভবনের ছাদ, পিলার ও ভিম ফেটে গেছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই পাঠদান করতে হয়। আমরা সব সময় আতঙ্কে থাকি।
বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আবদুর রশীদ বলেন, বিদ্যালয়ের বহু পুরনো ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হয়। যে কোন সময় ছাদ ভেঙে বড়ো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটতে পারে। অতিদ্রুত ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে নতুন ভবন নির্মাণের দাবি জানাই।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আজাদুর রহমান আজাদ বলেন, নতুন ভবনের জন্য আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করবো।