মো. শাহজাহান মিয়া ::
হাওরে হাওরে পাকা ও আধা পাকা ধান বাতাসের তালে তালে দুলছে। ধানের গন্ধ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে। তবে ধানকাটা শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। অন্য বছর দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ধানকাটা শ্রমিকরা হাওরাঞ্চলে আসলেও এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে আসতে পারছেন না। যে কারণে শ্রমিক সংকটে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।
বৃহস্পতিবার অনেক কৃষকের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, প্রতি বছর আমরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা শ্রমিকদের দিয়ে ধান কাটালেও এবার করোনার কারণে শ্রমিকরা আসতে চাইছেন না। আবার অনেকে আসতে চাইলেও ভয়ে আনা যাচ্ছে না। এছাড়া হাওরে জমিতে পাকা ধান রেখে রাতে ঘুম হচ্ছে না। এ অবস্থায় একমাত্র বোরো ফসল ঘরে তুলতে অন্য অঞ্চলের শ্রমিকদের বিকল্প নেই। তাই শ্রমিক আনতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।
এদিকে ধানকাটা ও গোলায় তোলার প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। চলছে ধান মাড়াইয়ের জন্য ত্রিপাল, কাস্তেসহ অন্যান্য সরঞ্জাম কেনার ধুম। সেই সাথে ধান শুকানোর খলা ও ধান রাখার গোলা তৈরির কাজ।
জগন্নাথপুর থানার এসআই আফছার আহমদ বলেন, জমির ধান কাটার জন্য অন্য স্থান থেকে শ্রমিক আনতে হলে কৃষকরা আগে শ্রমিকদের তালিকা দিতে হবে পুলিশের কাছে। আমরা তালিকা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাবো। পরে অনুমতি পেলে শ্রমিক আনা যাবে। তা না হলে নিজ এলাকার শ্রমিকদের দিয়ে ধান কাটতে হবে।
জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শওকত ওসমান মজুমদার বলেন, এবার বাম্পার বোরো ফলন হয়েছে। আশা করছি লক্ষ্যমাত্রার অধিক ফসল কৃষকদের গোলায় উঠবে।