স্টাফ রিপোর্টার ::
শাখাওয়াত হোসেন মাজন। দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের বীরগাঁও ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ছাত্র। হতদরিদ্র পিতা সুজাবুল হক দীর্ঘদিন ধরে ভোগছেন বার্ধক্যজনিত রোগে। গৃহিণী মা রাসমিনা বেগম আর ৪ বোন নিয়ে শাখাওয়াতদের সংসার। বড় বোন রিক্তা বেগমের সেলাই কাজের আয় আর ধারদেনা করে কোনোভাবে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে পরিবারটি। হঠাৎ করে শাখাওয়াতের দুরারোগ্য রোগ ধরা পড়ায় আকাশ ভেঙে পড়েছে অসহায় দরিদ্র পরিবারটির মাথায়। মেধাবী, চঞ্চল ছেলেটির দুটি কিডনিই নষ্ট। একটি কিডনী মাত্র ১০%, অন্যটি ৭% কাজ করছে। যেকোনো সময় কিডনীর কার্যকারিতা বন্ধ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে পারে ১৮ বছর বয়সি শাখাওয়াত। সে বর্তমানে সিলেট সদর শহীদ শামছুদ্দিন হাসপাতালে কিডনী বিশেষজ্ঞ ডা. নাজমুস সাকিবের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
দ্রুত সময়ের মধ্যে তার দুইটি কিডনীর মধ্যে একটি প্রতিস্থাপন করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক। কিডনী প্রতিস্থাপন করার আগ পর্যন্ত প্রতিমাসে ডায়ালাইসিসের মাধ্যমে অন্তত ৮ বার রক্তশোধন করতে হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক ডা. নাজমুস সাকিব। আপাতত তাঁর চিকিৎসা ব্যয় প্রয়োজন ১২ লক্ষ টাকা। কিন্তু যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরায় তাদের পক্ষে এই পাহাড় সমান টাকা সংগ্রহ করা অসাধ্যের ব্যাপার। তাই মেধাবী শিক্ষার্থী শাখাওয়াত হোসেন মাজনকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আশার প্রার্থনা করেছেন তাঁর পরিবার। ইতোমধ্যে কিডনী বিশেষজ্ঞ ডা. নাজমুস সাকিবকে উপদেষ্টা করে শাখাওয়াতের চিকিৎসার টাকা সংগ্রহ করতে “ক্যাম্পেইন ফর শাখাওয়াত হোসেন” নামে একটি মানবিক ক্যাম্পেইন শুরু করেছে সিলেটে অবস্থানরত দক্ষিণ সুনামগঞ্জের কিছু যুবক। সমাজের বিত্তবান, প্রবাসী, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহের মাধ্যমে ১২ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করা টার্গেট নিয়েছে তারা। শাখাওয়াতকে বাঁচাতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে সকলকে এগিয়ে আসতে অনুরোধ জানিয়েছেন ক্যাম্পেইনের দায়িত্বশীলরা।
ক্যাম্পেইনের আহ্বায়ক বাবরুল হাসান নাহিদ জানান, শাখাওয়াতের চিকিৎসার জন্যে প্রয়োজন ১২ লক্ষ টাকা। হতদরিদ্র শাখাওয়াতের পরিবারের পক্ষে এই টাকা সংগ্রহ করা সম্ভব নয়। মানবিক আবেদন হিসেবে এই টাকা সংগ্রহ করতে আমরা কিছু যুবক ক্যাম্পেইন শুরু করেছি। আমরা স্বপ্ন দেখছি সকলের সহযোগিতায় শাখাওয়াত আবারো স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে। মানবতার সেবায় সকলের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলে ১২ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। তাই মেধাবী ছাত্র শাখাওয়াতের জন্য টাকা সংগ্রহে শিক্ষার্থীসহ সকল শ্রেণিপেশার মানুষদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। শাখাওয়াতকে বিকাশের মাধ্যমে সাহায্য পাঠানো যাবে ০১৭১৫৩৯৬৪৯৮ নাম্বারে।