স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের বাথরুম থেকে মুক্তিযোদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার বিকেলে সদর থানা পুলিশ বাথরুমের দরোজা ভেঙে সদর উপজেলার কোণাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা মো. জলফে আলীর মরদেহ উদ্ধার করে। পরে তা ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রোববার সকালে মুক্তিযোদ্ধা জলফে আলী (৮০) বাড়ি থেকে সুনামগঞ্জ শহরে আসেন। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানের আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নেন। দুপুরে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের ৩য় তলায় এসে বাথরুমে প্রবেশ করেন। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের নাইটগার্ড আতিকুর রহমান সোহাগ বাথরুমের সামনে গিয়ে দেখেন দরোজা ভেতর থেকে লাগানো। কোন সাড়া শব্দ নেই। আশপাশের দোকানদারদের ডেকে তিনি জড়ো করে বাথরুমের দরোজা ফুটো করে দেখেন একজন মানুষ বাথরুমে পড়ে আছেন। তাৎক্ষণিকভাবে মুক্তিযোদ্ধা ও পুলিশদের খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বাথরুমের দরোজা ভেঙে মরদেহটি উদ্ধার করে।
খবর পেয়ে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ, পুলিশ সুপার মো. বরকতুল্লাহ খানসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তাদের সামনেই মুক্তিযোদ্ধার সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে পুলিশ। পরে সন্ধ্যায় সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
সদর থানার ওসি মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ বলেন, মুক্তিযোদ্ধার মৃতদেহের সঙ্গে একটি কীটনাশকের ছোট বোতল ছিল। সুরতহাল রিপোর্টে মনে হয়েছে কীটনাশক পানে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। আমরা মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করেছি।
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম জানান, মুক্তিযোদ্ধা জলফে আলী’র মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। প্রাথমিক ধারণা করছি বিষপানেই মৃত্যু হতে পারে। তবে ভিসেরা রিপোর্ট হাতে আসলে বিস্তারিত বলা যাবে।