সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
২০২৫ সালের মধ্যে বিদ্যুতের সব গ্রাহককে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনা হবে বলে জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। মঙ্গলবার সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকারি দলের ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
¯িপকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
নসরুল হামিদ বলেন, বর্তমানের দেশে ১৭ লাখের বেশি বিদ্যুৎ গ্রাহককে পোস্টপেইড থেকে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনা হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে শহর এলাকা এবং ২০২৫ সালের মধ্যে গ্রাম এলাকার সব গ্রাহককে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনা হবে।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য শহিদ ইসলামের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, দেশের নদীবক্ষের বালুতে মূল্যবান খনিজের উপস্থিতি আছে কিনা, তা নির্ণয় ও এর অর্থমান নির্ধারণে মন্ত্রণালয়ের অধীন ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতর কাজ করে যাচ্ছে।
হাবিবর রহমানের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সিলেট ও কুমিল্লার গেজেটভুক্ত স্থান থেকে সিলিকা বালু তোলা হয়।
সরকারি দলের দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালে জ্বালানি খাতে ৬৫ লাখ পাঁচ হাজার ৩০৮ মেট্রিক টন জ্বালানি তেল আমদানি করা হয়েছে। এই তেল আমদানি বাবদ আনুমানিক ৩২ হাজার ৯৩৭ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।
দিদারুল আলমের অপর এক প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমানা নি®পত্তির পর বাংলাদেশ গভীর ও অগভীর সমুদ্রে পাঁচটি কো¤পানির সঙ্গে চারটি ব্লকে উৎপাদনবণ্টন চুক্তির মাধ্যমে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের কাজ শুরু করেছে। এরই মধ্যে ২ডি ও তিনটি সাইসমিক জরিপের কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণের কাজ চলছে।
সরকারি দলের মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত বিটিভি বিজ্ঞাপন খাত থেকে আট কোটি ৮০ লাখ ৫৫ হাজার ৫৮৪ টাকার রাজস্ব আয় করেছে।
সরকারি দলের হাজী মো. সেলিমের প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ন বলেন, দেশে চাহিদার তুলনায় উৎপাদিত রাসায়নিক সারের ঘাটতির পরিমাণ ১৬ দশমিক ০৫ লাখ মেট্রিক টন।