সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
বিএনপি নির্বাচনে আনতে কোনো উদ্যোগ না নেওয়ার কথা আবার জানালেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবারে সংসদে তিনি বলেছেন, “এখানে কে মান-অভিমান করল, আর কার মান ভাঙাতে যাব, সেটা জানি না। সহানুভূতি দেখাতে গিয়ে যদি অপমানিত হয়ে ফিরে আসতে হয়, সেখানে আর যাবার কোনো ইচ্ছা আমার নেই।”
একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় নির্দলীয় সরকারের দাবিতে বিএনপি সংলাপ চেয়ে এলেও শেখ হাসিনা বরাবরই তা প্রত্যাখ্যান করছেন।
দশম সংসদ নির্বাচনের আগে সংলাপের জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ফোন করে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন শেখ হাসিনা। খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো মারা যাওয়ার পর সান্ত¡না জানাতে গেলেও তার জন্য খোলা হয়নি দ্বার।
বিএনপি এখন তাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে সংসদ ভেঙে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং ইসি পুনর্গঠনের দাবি তুললেও তাতে সাড়া দিচ্ছে না ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
এই পরিস্থিতিতে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন রাখেন, “দেশে পলিটিক্যাল অভিমান চলছে। এটা কোনোক্রমেই রোহিঙ্গা সমস্যার থেকে কম নয়। এটা কীভাবে সমাধান করবেন তা জানতে চাই।”
তার উত্তরে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “মান-অভিমান কোথায়, তা আমি জানি না। এটা নীতির প্রশ্ন, রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের প্রশ্ন, আর হচ্ছে আইনের প্রশ্ন। কেউ যদি অন্যায় করে, অর্থ আত্মসাৎ করে, চুরি করে, খুন করে, খুনের প্রচেষ্টা চালায়, গ্রেনেড ও বোমা মারে। তার বিচার হবে এটাই স্বাভাবিক।”
শেখ হাসিনা বলেন, “দেশটা সকলের। বিষয়টি এমন নয় যে দেশটা আমাদের একার। যারা রাজনীতি করবেন, দেশের প্রতি তাদের দায়িত্ববোধ থাকতে হবে। সেই দায়িত্ববোধ থেকেই নিজেদের কর্মপন্থা করবেন। সেই অনুযায়ী কাজ করবেন।”
নিজের কথা বলতে গিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, “আমি নিজের স্বার্থে রাজনীতি করি না। নিজেদের লাভ লোকসানের জন্য রাজনীতি করি না। লাভ-লোকসানের বিচার করি না। সেই হিসাবও করি না। হিসাব করি জনগণের জন্য কী করলাম। তাদের কতটুকু করতে পারলাম। জনগণের জন্য রাজনীতি করি।”
এনিয়ে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন শেখ হাসিনা। উন্নয়নচিত্র দেখে জনগণ আগামী নির্বাচনেও আওয়ামী লীগকেই ভোট দিয়ে ক্ষমতায় রাখবে বলে আশাবাদী তিনি।