সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) কিভাবে ম্যানিপুলেট করা সম্ভব তা তুলে ধরে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এই মেশিন দিয়ে অতি সহজে নির্বাচনের ফল পাল্টে দেওয়া যায়। এটা দূর থেকে রিমোর্ট কন্ট্রোলের মাধ্যমে ম্যানিপুলেট করা সম্ভব। সেজন্য ভোট কারচুপির এই সরকার ইসিকে ইভিএম ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছে।
বৃহ¯পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রিজভী।
তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশে নির্বাচন কমিশন ইভিএম চালুর মাধ্যমে আরেকটি বড় ধরনের ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পথে এগুচ্ছে। সরকারের জনপ্রিয়তা নেই। তারা আগামী নির্বাচন নিয়ে নানা ফন্দিফিকির শুরু করেছে। ইভিএম সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিপন্থী। বাংলাদেশের ভোটাররা ইভিএম মানতে নারাজ। ভোটাধিকার হরণে এই পদ্ধতির ব্যবহার চুপিসারে ডিজিটাল অন্তর্ঘাত।
জাতীয় নির্বাচনসহ সকল নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের জনদাবির বিপক্ষের সিদ্ধান্ত থেকে নির্বাচন কমিশনকে সরে আসার দাবি জানিয়ে রিজভী বলেন, একইসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের ঊর্ধ্বতন দলবাজ কর্মকর্তাদের সরিয়ে কমিশন পুনর্গঠনেরও দাবি করছি।
খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনই এখন জনগণের একমাত্র দাবি। এই দাবি এগিয়ে নিতেই বিএনপি অঙ্গীকারাবদ্ধ। ইভিএম ইস্যু তুলে জনদৃষ্টিকে বিভ্রান্ত করা যাবে না।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনগুলো নিয়ে সফটওয়্যার প্রোগ্রামাররা বলেছেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনগুলো বিদ্বেষমূলক প্রোগ্রামিংয়ের জন্য যে কোনো মুহূর্তে হ্যাকাররা মেশিনটিকে হ্যাক করে ভোট গণনাকে খুব সহজেই টে¤পারিং করতে পারে। এর আগে জার্মানি, আমেরিকা, ভারতসহ অনেক দেশে ইভিএম মেশিন নিয়ে বিতর্ক হওয়ায় এই মেশিন ব্যবহার বন্ধ আবার কোথাও সংস্কার করা হয়েছে। অনেক দেশে মামলাও হয়েছে। আমেরিকায় অনেক স্টেট বন্ধ করেছে আবার কিছু স্টেটে ইভিএমের পাশাপাশি ম্যানুয়াল পদ্ধতিও আছে। জার্মান আদালত ২০০৯ সালে এক রায়ে বলেছে, ইভিএম মেশিন খুব সহজেই টে¤পারিং করা সম্ভব। এতে ভোট পুনরায় গণনার সুযোগ নেই। তাই জার্মান আদালত ওই মেশিন ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। গত বছর ভারতে কীভাবে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট কারসাজি হয়েছে, সেটি ছবিসহ প্রকাশ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, কবির মুরাদ, বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ, আসাদুল করীম শাহীন, অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।