স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ পরিকল্পনা অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ কর্মী নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা বা জেলা অফিসের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো আছে এমন কর্মীকে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরানোয় বঞ্চিত ও নিবেদিতপ্রাণদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। অভিযোগ উঠেছে- জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে এই অধিদপ্তরে মাঠ পর্যায়ে কাজ করেন এমন কর্মী প্রতি বছরই পুরস্কৃত হন। এবারও গতকাল বুধবার বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে তাদেরকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
জানা গেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় মাঠ পর্যায়ে কর্মরত পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে কর্মীদের প্রতি বছর শ্রেষ্ঠ কর্মী হিসেবে পুরস্কৃত করে। নির্দিষ্ট নিয়ম থাকলেও বিভিন্ন সময়ে সেই নিয়মের ব্যত্যয় করে জেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের সংশ্লিষ্ট লোকজন এবং উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের লোকজন সুবিধা নিয়ে প্রকৃতদের বদলে অন্যদের মূল্যায়ন করেন। যারা মাঠে অক্লান্ত পরিশ্রম করে সততার সঙ্গে কাজ করেন এমন লোকজনকে মূল্যায়ন করা হচ্ছে। জানা গেছে, পুরস্কৃত কর্মীদের মধ্যে যাদের সঙ্গে জেলা উপ-পরিচালক, উপজেলা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে ভালো যোগাযোগ ও সম্পর্ক রয়েছে তারাই সাধারণত পুরস্কৃত হন। এবারো সেটাই হয়েছে।
এবার প্রতি উপজেলায় পরিবার পরিকল্পনা সহকারি, পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক, পরিদর্শিকা ও সেকমো থেকে একজন করে শ্রেষ্ঠ কর্মী হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পরিবার পরিকল্পনা সহকারি বলেন, যারা দায়িত্বে অবহেলা না করে, সততা নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে প্রতিদিন কাজ করে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তারাই উপেক্ষিত থাকে। তার বদলে সুযোগ সন্ধানী বেশিরভাগ কর্মীই সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে পুরস্কার বাগিয়ে নেয়। এটা সৎকর্মীদের জন্য অপমানের, হতাশার।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মোজাম্মেল হক বলেন, মন্ত্রণালয় নির্দেশিত ক্যাটাগরির ভিত্তিতেই উপজেলা প্রশাসন, জেলা প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য বিভাগের সংশ্লিষ্টদের মাধ্যমে আমরা শ্রেষ্ঠ কর্মী বাছাই করি। এতে কারো কাছ থেকে কোন সুবিধা নেওয়া হয়না। শ্রেষ্ঠ কর্মী নির্বাচন যাচাই-বাছাই ও যোগ্যতা অনুযায়ীই করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।