স্টাফ রিপোর্টার ::
দোয়ারাবাজারে বখাটেদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ সাংবাদিক কন্যা ফারহানা ফাহমিদার অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে উপজেলা প্রশাসন। গত ৬ মার্চ সরেজমিন তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার। তদন্ত প্রতিবেদনের সত্যতা পাওয়ায় দুই বখাটের বিরুদ্ধে দোয়ারাবাজার থানার ওসিকে নিয়মিত মামলা নেওয়ার অনুরোধ করেছেন তিনি। পাশাপাশি অভিযোগকারীর নিরাপত্তার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সরেজমিন তদন্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গোপালপুর গ্রামের সাংবাদিক কন্যা ও প্রবাসীর স্ত্রী ফারহানা ফাহমিদাকে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছে একই গ্রামের আইনুল হক, কলিম উদ্দিন ও জালাল উদ্দিন। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে গত ৬ জুন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী মহুয়া মমতাজ ঘটনাস্থলে সরেজমিন তদন্তে যান। তদন্তকালে তিনি ইউপি চেয়ারম্যান, সদস্য, অভিযোগকারীর বোন, স্বজন, চাচা এবং অভিযুক্তদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন। অভিযোগকারী তদন্তদলকে বখাটে কর্তৃক তাকে উত্ত্যক্তপনার কথা জানান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমবাড়ি মাদ্রাসা শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলেও বখাটেপনার সত্যতা পান। তাছাড়া গ্রামীণ বিচারকদের কাছে বখাটেদের বিরুদ্ধে বিচার চাইতে ফারহানা একাধিকবার গিয়েছেন এমন সত্যতা এলাকাবাসীদের সঙ্গে কথা বলে পেয়েছেন। সরেজমিন বিভিন্নজনের সঙ্গে কথা বলে অভিযুক্ত আইনুল হক ও কলিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
দোয়ারাবাজার থানার ওসি বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়ের সরেজমিন তদন্ত প্রতিবেদন পেয়েছি। অভিযোগকারী এজাহার দিলেই আমরা থানায় মামলা নেব।