স্টাফ রিপোর্টার ::
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৯তম জন্মবার্ষিকী পালন করেছে জেলা শিল্পকলা একাডেমী। শুক্রবার সকালে শিল্পকলা একাডেমীর হাছন রাজা মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ নুরুজ্জামান। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলাম।
শিল্পকলা একাডেমীর কালচারাল অফিসার আহমেদ মঞ্জুরুল হক চৌধুরীর সঞ্চালনায় আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের সহকারি অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন। অনুষ্ঠানে নজরুল সংগীত পরিবেশন করেন রূপশ্রী রায়, শান্তিময় ভট্টাচার্য, দীপায়ন চৌধুরী, সোহেল রানা, মাকসুদুর রহমান দিপু, শুভ্রা, স্বস্তি, শামীম আহমেদসহ জেলা শিল্পকলা একাডেমির সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থীবৃন্দ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার চেতনার বসবাস আমাদের হৃদয় ও মনের গহীনে। মানুষের পরিচয় তার পোশাকে নয় ভাষা, সংস্কৃতি ও চিন্তায়। রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল এটাতে কাজ করেছেন।
বক্তারা আরো বলেন, সত্যের সংগ্রামে, সাম্যের জয়গানে, বাঁধ ভাঙা তারুণ্যে, ইসলামী গান ও গজলে নজরুলকে আমরা পাই। তিনি শ্রেষ্ঠ মানবতাবাদী কলমযোদ্ধা, ধূমকেতুর মত আকস্মিক।
বক্তারা বলেন, অসাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাসী নজরুল ছিলেন মানবতাবাদী ও সাম্যের কবি। রবীন্দ্র যুগেও তিনি আলো ছড়িয়েছেন। নজরুলের ভাষা ও ভাবে রয়েছে বিদ্রোহের বহিঃপ্রকাশ। তাই আমাদের বর্তমান তরুণ ও কিশোর-কিশোরীদের প্রয়োজন নজরুলের জীবনী সম্পর্কে ধারণা নেওয়া। তাঁর জীবনীতে বর্তমান তরুণ প্রজন্মকে অনেক কিছু শিখার রয়েছে।