মো. আমিনুল ইসলাম ::
জনগণের কাক্সিক্ষত সেবা নিশ্চিতকরণে প্রশাসন কাজ করছে উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলাম বলেছেন, ‘প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে আমলারা জনগণের সেবক। আর জনগণকে সেবা দিতেই আমরা চাকরি করছি। জনগণের যে কাক্সিক্ষত সেবা প্রাপ্তির অধিকার রয়েছে তা নিশ্চিতকরণে জেলা প্রশাসন আন্তরিকভাবে কাজ করছে।’
গতকাল বুধবার দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণের ‘সেবা চত্বরে’ সাধারণ মানুষের কাছ থেকে নানা বিষয়ে সরাসরি অভিযোগ গ্রহণকালে এসব কথা বলেন জেলা প্রশাসক।
সরকারি বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তাদেরকে তিনি জনগণের সামনে নিয়ে আসেন এবং মানুষের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাদেরকে সরাসরি প্রশাসনিক সেবা দানে কার্যকর ব্যবস্থা নেন। তিনি এসময় সরকারের নানা সুবিধা সহজেই সাধারণ মানুষ গ্রহণ করতে পারেন বলে উল্লেখ করেন।
প্রথম দিনের মতো নাগরিক পর্যায়ে সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে অংশ নেয়া জেলা প্রশাসককে সাধারণ মানুষ এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে একেবারেই কাছের মানুষ হিসেবে পেয়েছিলেন। প্রশাসনিক রুটিনকার্যের বাইরে এ কার্যক্রম জেলা প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের মধ্যে দূরত্ব অনেকাংশেই কমিয়ে আনবে বলে মন্তব্য করেছেন সুধীজন। নিজেদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জেলা প্রশাসনের সর্বোচ্চ পদস্ত কর্মকর্তার সঙ্গে খোলামেলা কথা বলতে পেরে খুশি অনেকেই। তাদের একজন জগন্নাথপুর উপজেলা থেকে আগত রইসুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘আমি আমার পারিবারিক একটা ব্যাপার নিয়ে ঝামেলায় পড়ে গেছি। স্থানীয় পর্যায়ে বিষয়টি মিমাংসা করতে গিয়ে অনেকের কাছেই সহযোগিতা চেয়ে নিরাশ হয়েছিলাম, কিন্তু এখানে এসে দেখলাম আমাদের স্থানীয় অফিসারদের চেয়েও আন্তরিকভাবে কাজ করছেন ডিসি মহোদয়। তিনি সরাসরি মানুষের ভিড়ের মধ্যে এসে জিজ্ঞেস করছেন কার কি সমস্যা, এটা আমার কাছে অবাক করার মতো ঘটনা’।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এখন থেকে সপ্তাহের প্রতি বুধবার জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলাম কালেক্টরেট প্রাঙ্গণের সেবা চত্বরে সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাদের সমস্যা সমাধান ও সেবা দানে সরাসরি কথা বলবেন এবং অভিযোগ গ্রহণ করবেন।
গতকাল বুধবার ১ম গণশুনানি কর্মসূচিতে জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলাম ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাবেরা আক্তার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কামরুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আইনুর আক্তার পান্না, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শফিউল আলম, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জাহেদুল হক, মৎস্য বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শংকর রঞ্জন দাশ প্রমুখ।