1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ১২:৫১ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পে হরিলুট বন্ধ করুন

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই, ২০১৭

দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে তৃণমূল পর্যায়ে উন্নয়নের স্বার্থে সরকার বিভিন্ন উন্নয়নখাতে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে আসছে। কিন্তু তার সঠিক বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। চলছে আত্মসাৎ ও হরিলুটের ঘটনা। টিআর-কাবিটা-কর্মসৃজন-এডিপিসহ সুনামগঞ্জে বিভিন্ন ইউনিয়নে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দে হরিলুট হয়েছে।
স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত কিছু জনপ্রতিনিধি তাদের ইচ্ছে মতো আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে বণ্টন করে এবং নিজেদের রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করছেন। কোনো কোনো ইউনিয়নে উন্নয়ন কাজ না করেই প্রকল্পের সমুদয় টাকা আত্মসাত হয়েছে। এমনকি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বরাদ্দও লুপাট করা হচ্ছে।
গতকাল ‘সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পে হরিলুট’ শিরোনামে দৈনিক সুনামকণ্ঠে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সরকারের বরাদ্দ টিআর-কাবিটা-কর্মসৃজন-এডিপিসহ নানা প্রকল্পের উন্নয়নমূলক বরাদ্দে প্রকাশ্যে নয়ছয় হচ্ছে বলে সংবাদে জানানো হয়েছে। জানাগেছে, হতদরিদ্রদের জন্য দেওয়া সরকারের সৌর সোলার প্যানেল শোভা পাচ্ছে চেয়ারম্যান-মেম্বার ও তাদের সচ্ছল স্বজনদের ঘরে। মসজিদের নামে বরাদ্দকৃত সোলার প্যানেলের বরাদ্দও গায়েব হয়ে গেছে। একস্থানে কৌশলে একাধিক প্রকল্প নিয়ে সেখানে নামমাত্র কাজ করিয়ে লোপাট করা হচ্ছে সরকারি অর্থ।
জামালগঞ্জ উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের কর্মসৃজন প্রকল্পের ২য় পর্যায়ে সদরকান্দি লোকমানের বাড়ি থেকে কামিনীপুর স্কুল পর্যন্ত রাস্তা মেরামতে ৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। মমিনপুর আসকর আলীর বাড়ি হতে হোসেনপুর গ্রাম পর্যন্ত রাস্তা মেরামতে আরো ৬ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এই দুটি রাস্তায় নামমাত্র কাজ করানো হয়েছে। পুরো বরাদ্দ লুটপাট করতে ভুয়া মাস্টাররোলও প্রস্তুত করা হয়েছে।
চলতি অর্থ বছরে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির আওতায় ২য় পর্যায়ে উপজেলার বেহেলী ইউনিয়নের ৫টি কর্মসৃজন প্রকল্পে ১৫ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রকল্প এলাকা এখন পানির নিচে থাকলেও পুরো প্রকল্পের বরাদ্দ তুলে নেওয়ার প্রক্রিয়া প্রায় শেষের পথে। পানির নিচে থাকা অবস্থায় প্রকল্পের বরাদ্দ অনুমোদন দেয়ায় প্রশ্ন উঠেছে সচেতন মহলে।
সদর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের জয়নগর বাজারে ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে এডিপি প্রকল্পে মাত্র ৫০০ গজ ব্যবধানে তিনটি প্রকল্পে ৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। তিনটি প্রকল্পের মধ্যে দুটি পিআইসি ও একটি কোটেশন টেন্ডারের মাধ্যমে বাস্তবায়নের কথা বলা হলেও নামমাত্র কাজ করিয়ে প্রকল্পের বরাদ্দ তুলে নেওয়া হয়েছে। জয়নগর বাজার ‘শামছুন্নুরের দোকান থেকে হাইস্কুল ভায়া গোদারাঘাট রাস্তাটি সিসি ঢালাই’ প্রকল্পে ২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এই প্রকল্পের রাস্তা পাকা এবং সংস্কারের কোন প্রয়োজনীয়তা না থাকলেও নতুন প্রকল্প নেওয়া হয় মূলত বরাদ্দ নয়ছয় করতে। এই প্রকল্পের ঠিক পাশেই প্রায় ৫০০ গজ দূরে একই প্রকল্পে টেন্ডারে (কোটেশন) ‘জয়নগর বাজার আব্দুল্লাহ চেয়ারম্যানের দোকানের রাস্তা হতে মাছ বাজার পর্যন্ত সিসি ঢালাই’ প্রকল্পে ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
জয়নগরবাজার হিন্দু সম্প্রদায়ের আখড়ার মালিকানাধীন খোলা জায়গা (আদালতে বিচারাধীন) নাম বদলে ‘সভাস্থান’ উল্লেখ করে ঢালাই করে দেওয়া হয়েছে ২ লক্ষ টাকা খরচ করে। জয়নগরবাজার জামে মসজিদে টিআর ও কাবিটা দ্বিতীয় পর্যায়ে সৌর বিদ্যুৎ প্যানেল বরাদ্দ দেওয়া হলেও এখনো মসজিদে সৌরবিদ্যুৎ স্থাপন হয়নি।
এসব প্রকল্পের অনিয়ম-দুনীতি বন্ধ না করলে প্রত্যন্ত অঞ্চলের উন্নয়ন ব্যাহত হবে। জরুরিভিত্তিতে প্রকল্প কাজের তদারকি বাড়িয়ে তা যথাযথভাবে বাস্তবায়নের ব্যবস্থা করা একান্ত প্রয়োজন। পাশাপাশি অনিয়ম-দুর্নীতির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com