1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০১:৩০ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

ফতেপুর ইউনিয়নে ভিজিএফ বিতরণে অনিয়ম : আত্মসাৎকৃত বরাদ্দ সরকারি কোষাগারে জমা প্রদানের নির্দেশ

  • আপডেট সময় সোমবার, ১৭ জুলাই, ২০১৭

হাসান বশির ::
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নে ভিজিএফ কর্মসূচির আত্মসাৎকৃত চালের আর্থিক মূল্য ও নগদ টাকা সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যদের নিকট হতে আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলাম।
গত ১১ জুলাই জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, সুনামগঞ্জ ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখা থেকে প্রেরিত পত্রের মাধ্যমে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
সম্প্রতি বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এ নির্দেশনা পৌঁছে দেয়া হয়েছে। গতকাল রোববার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
নির্দেশনা অনুযায়ী, ৪ ইউপি সদস্যকে বিভিন্ন পরিমাণে টাকার অংকে ১ লাখ ৭২ হাজার ৪টাকা পরিমাণ অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সেই সাথে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য ১নং ওয়ার্ডের নেছার আহমদ, ৪নং ওয়ার্ডের আব্দুল হেকিম, ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য অশ্বিনী বর্মণ, ৯নং ওয়ার্ড সদস্য বিজয় কর-এর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেয়া হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মানিক মিয়া জানান, আজ-কালের মধ্যেই হয়তো বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয় টাকা পরিশোধের জন্য পত্র পাঠাতে পারেন।
উল্লেখ্য, বিশ্বম্ভরপুরে ফতেপুর ইউনিয়নে ফসলহারা ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ভিজিএফ বরাদ্দ বণ্টনে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। অভিযোগ যাচাইয়ে উপজেলা প্রশাসন তদন্ত কমিটি গঠন করে। এ কমিটি অভিযোগের সত্যতা পেয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। তদন্ত প্রতিবেদনে থেকে জানা যায়, ১নং ওয়ার্ডে বরাদ্দ পাননি ৯ জন, ৪নং ওয়ার্ডে বরাদ্দ পাননি ৩৩ জন, ৬নং ওয়ার্ডে বরাদ্দ পাননি ৩জন, ৯নং ওয়ার্ডে বরাদ্দ পাননি ৮জন, ফেয়ারপ্রাইসভুক্ত ৩জন, ভিজিডি কার্ড আছে এবং চাল টাকা পেয়েছে ১জন, মৃত ব্যক্তির নাম তালিকাভুক্ত ১জন, তালিকভুক্ত মোট ৬জন ব্যক্তির অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। দুইবার নাম তালিকাভুক্ত হয়েছে ৫জন, একই পরিবারের একাধিক সদস্যের নাম অন্তর্ভুক্ত করে চাল ও টাকা পেয়েছে ৭জন, ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বারের ৩সন্তানের নাম তালিকাভুক্ত করেন। ৯নং ওয়ার্ড সদস্য দ্বিগবিজয় কর পিতা, মাতা, ভাই, স্ত্রী ও নাবালক সন্তান সহ মোট ৯ জন সদস্যের নাম তালিকাভুক্ত করেন। চাল ও টাকা প্রদানের পর ৩জন ব্যক্তির নিকট থেকে ৫০০টাকা করে নিয়েছেন সদস্য দ্বিগবিজয় কর, ৯নং ওয়ার্ডে একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের ২ বছরের সন্তানসহ পিতা ও ভাইয়ের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com