তাহিরপুর উপজেলায় যাদুকাটা নদীর উপর দেশের অন্যতম দৃষ্টিনন্দন মডেল সেতু নির্মাণ করা হবে। সেতুটি ৭৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৫ দশমিক ৮৩ সেন্টিমিটার প্রস্তের এ সেতু নির্মাণ হচ্ছে। এতে ব্যয় হবে ১৩৭ কোটি টাকা। শাহ্ আরেফিন (রহ.) নামে এ সেতুটি বিন্নাকুলি বাজারের দক্ষিণ পাশ থেকে যাদুকাটা নদীর উপর দিয়ে নির্মাণ হবে। ইতোমধ্যে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এছাড়াও একনেক অনুমোদিত সুনামগঞ্জের ১২টি সেতুর মধ্যে ১১টিই নির্মিত হবে তাহিরপুর উপজেলায়। এতে যেমন সহজ হবে যোগাযোগ ব্যবস্থা, তেমনি খুলে যাবে আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার নতুন দিগন্ত।
তাহিরপুর, ধর্মপাশা, মধ্যনগর এলাকার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন আনতে বর্তমান সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী মোট ১২টি সেতু নির্মাণ করা হবে। ইতোমধ্যে জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন নদীর উপর ৮টি গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণের বিষয়টি একনেকের সভায় অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে দেশের অন্যতম মডেল সেতু নির্মাণ হবে যাদুকাটা নদীর উপর। এটিতে সেতুর মাঝামাঝি অংশে থাকবে ওয়াচ টাওয়ার। পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণসহ ৯টি প্রকল্প অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
সুনামগঞ্জের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে ১২ সেতুর মধ্যে অনুমোদিত ৮ সেতু প্রকল্পগুলো হচ্ছে মধ্যনগর বাজার সংলগ্ন উবদাখালি নদীর উপর ৩০০ মিটার সেতু, মধ্যনগর-মহেষখলা সড়কের সোমেশ্বরী নদীর উপর ২০০ মিটার সেতু, দিরাই-ধল-মার্কুলি সড়কে কাজুয়া নদীর (মরা কুশিয়ারা) উপর ৩০৮ মিটার সেতু, মহেষখলা-টেকেরঘাট-লাউড়েরগড় সড়কে যাদুকাটা নদীর উপর ৭৫০ মিটার সেতু, জয়শ্রী- গোলকপুর সড়কে জয়শ্রী বাজার সংলগ্ন বুরাইয়া নদীর উপর ৩০০ মিটার সেতু, গোলকপুর-সাচনাবাজার সড়কের বৌলাই নদীর উপর ৩০০ মিটার সেতু, বাদাঘাট-কাউকান্দি-টেকেরঘাট সড়কের ডা¤েপর বাজার সংলগ্ন পাটলাই নদীর উপর ৪০০ মিটার সেতু, ছাতক উপজেলার মঙ্গলপুর বাজার সংলগ্ন আনুজানি সড়কে চেলা নদীর উপর ৪৫ মিটার সেতু নির্মাণ প্রকল্প। আমরা চাই, প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন পদক্ষেপ নেয়া হোক।