সুনামগঞ্জে মরণ নেশা ইয়াবা’র বিস্তার ঘটছে। ব্যবসায়ী বা সেবনকারীরা এ ইয়াবাকে গুটি, বাবা, ভন্ডার নামে ডাকেন। জেলা শহর ও পার্শ্ববর্তী গ্রাম, সীমান্ত এলাকায় ইয়াবা ব্যবসায়ী ও সেবনকারী রয়েছে। এসব লোকদের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা’র রমরমা ব্যবসা চলছে।
২০০১ সালে সুনামগঞ্জ শহর ও গ্রামাঞ্চলে ছিল হেরোইনের ভয়াবহতা। যুব সমাজ যখন ধ্বংস হতে চলল, ঠিক তখনই এ শহরের তরুণ ও সচেতন মহল হেরোইনের ব্যবসা ও সেবন বন্ধ করতে আন্দোলন শুরু করেন। তখন পুলিশি তৎপরতাও বৃদ্ধি পায় ব্যাপকভাবে। মানুষ যে সময় পুলিশের সহায়তা চেয়ে, তখনই দরজায় পুলিশ হাজির হয়ে মাদক সেবনকারী ও ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে। পাঠিয়েছে জেল হাজতে। ফলে হেরোইনের ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের সংখ্যা অনেকাংশে কমে আসে। এখন সুনামগঞ্জে চলছে রমরমা ইয়াবা ব্যবসা। মরণ নেশা ইয়াবা তরুণ সমাজকে সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করছে। হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে ইয়াবা। ইয়াবাকে পুঁজি করে রমরমা ব্যবসা চলছে শহর ছাড়াও গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে। সীমান্তবর্তী এলাকায় ইয়াবা’র ব্যবসা এখন জমজমাট বলে জানা গেছে।
আমরা লক্ষ করছি, মাঝেমধ্যে এসব মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিলেও কোনোভাবেই মরণনেশা মাদকের অবৈধ কেনাবেচা বন্ধ করা যাচ্ছে না। অধিকাংশ মাদক কারবারিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে যাচ্ছে। আমরা মনে করি, মরণ নেশা ইয়াবাসহ সকল প্রকার মাদক প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। সুনামগঞ্জ জেলায় মাদকের অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করার জন্য স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ সুপার ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করি।