বাঁধ ভেঙে ফসলহানিতে হাওরপাড়ের কৃষক নিঃস্ব। তাছাড়া বিভিন্ন এনজিওদের ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ফসলহারা কৃষক। যদিও কৃষকদের ঋণের জন্য চাপ না দিতে সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তবুও থেমে নেই ঋণের আদায়। কৌশলে এনজিওগুলো কৃষকদের কাছ থেকে ঋণ আদায় করছে কোনো কোনো এনজিও মোটা অংকের ঋণ দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে চলমান ঋণের কিস্তি আদায়ে তৎপরতা চালাচ্ছে। এ প্রলোভনে পড়ে কেউ কেউ স্থানীয় সুদখোরদের কাছ থেকে সুদে টাকা এনে কিস্তি পরিশোধ করে বড় ধরনের ঝুঁকিতে পড়ছেন।
কৌশলী এনজিও প্রতিষ্ঠানগুলো সরাসরি এলাকায় কিস্তি সংগ্রহে লোক না পাঠিয়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কিস্তি পরিশোধের তাগাদা অব্যাহত রেখেছে।
এদিকে হাওরপাড়ের জেলেরাও আছেন এনজিওদের ঋণে বাধা। তাদের জীবনও দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। মৎস্যজীবীরা ফসলহারা কৃষকদের মতোই এবার বিপর্যস্ত। তারাও পরিবার-পরিজন নিয়ে পড়েছেন মহাবিপাকে।
তাছাড়া ফসলহানির প্রভাব অন্যান্য পর্যায়েও পড়েছে। হাওরপাড়ের প্রায় সব মানুষই বিভিন্নভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এ অবস্থায় হাওরবাসীর জীবনমান উন্নয়নে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে এবং নিতে হবে দ্রুত পদক্ষেপ। পাশাপাশি এনজিও ঋণ আদায় বন্ধ করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের বিনাসুদে ঋণ দিতে হবে।