ধর্মপাশায় একই পরিবারের তিন প্রতিবন্ধীর ভাগ্যে জোটেনি প্রতিবন্ধী ভাতা। এ বিষয়টি বেদনাদায়ক। এ নিয়ে রোববার দৈনিক সুনামকণ্ঠে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ওই তিন প্রতিবন্ধীর বাড়ি ধর্মপাশা উপজেলার সদর ইউনিয়নের লংকাপাথারিয়া গ্রামে। তাঁরা হলেন জাকির হোসেন (৪৫), মিয়ার হোসেন (৩২) ও আক্তার হোসেন (২৩) সম্পর্কে ওরা তিনজন আপন ভাই। জন্ম থেকে ওরা তিনজনই বাক প্রতিবন্ধী। পেশায় মৎস্যজীবী ও দিনমজুর। নিজেদের সম্পদ বলতে এক চিলতে ভিটে টুকুই। সেই ভিটেতে ঘর তুলার সামর্থ্য তাঁদের নেই। তাই এক আত্মীয়ের বাড়িতে একটি দু’চালা জরাজীর্ণ টিনের ঘরের কাপড়ের বেষ্টনী দিয়ে স্ত্রী, সন্তান ও মা নিয়ে কোনোরকমে বসবাস করছেন তারা। এক ঘরের মধ্যে তাঁরা বসবাস করলে বছর খানেক হলো তাঁরা তিন ভাই স্ত্রী সন্তান নিয়ে পৃথক হয়ে গেছেন। বৃদ্ধা মা পালাক্রমে তিন সন্তানের সঙ্গে খাবার খান। এঁরা প্রতিবন্ধী ভাতা পেতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে বার বার গেলেও তাঁদের ভাগ্যে আজও প্রতিবন্ধী ভাতা জোটেনি। ফলে দু’বেলা কোনোরকমে খেয়ে না খেয়ে চলছে এই দরিদ্র তিনটি পরিবার। অবশ্য উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের বিধি মোতাবেক একজন প্রতিবন্ধী উপজেলা অধিদপ্তর থেকে ফরম সংগ্রহ করে তা যথাযথভাবে পূরণ করে এবং স্থানীয় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সুপারিশসহ জেলা প্রশাসন বা উপজেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে জমা দিতে হবে। সেই সাথে কর্তব্যরত ডাক্তারেরও প্রতিবন্ধী বিষয়ে প্রত্যয়ন করতে হবে। এরপর এই ফরমের আলোকে উপজেলা বা জেলা প্রশাসন ওই প্রতিবন্ধীর বিষয়ে খোঁজ-খবর নেবেন। এসব নিয়ম-বিধি কী একজন প্রতিবন্ধী কিভাবে বুঝবেন। এ জন্য সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করতে হবে স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। তবেই ওই প্রতিবন্ধী তাঁর ন্যায্য ভাতা পেতে পারেন। এ জন্য একজন প্রতিবন্ধীর বিষয়ে প্রথম ধাপে স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব অতিগুরুত্বের সাথে পালন করতে হবে। পরে স্থানীয় প্রশাসন দ্রুততার সাথে প্রতিবন্ধীদের ভাতা পাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা চাই, জেলার সকল প্রতিবন্ধীদের ভাতা প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।