সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
সস্পাদকদের রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদার ক্রমে (ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সে) অন্তর্ভুক্ত না করাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, সরকারের কাছে তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।
এক রিট আবেদনের শুনানি করে সোমবার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের বেঞ্চ এই রুল দেয়।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, আইন সচিব ও তথ্য সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমে সম্পাদকদের অন্তর্ভুক্তির নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে সে ব্যাখ্যাও চাওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থায় সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সম্পাদকদের ভূমিকা তুলে ধরে রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদা ক্রমে সংবাদপত্রের সম্পাদকদের অন্তর্ভুক্তির আর্জি জানিয়ে রোববার রিট আবেদনটি করেন দৈনিক ভোরের পাতার সম্পাদক কাজী এরতেজা হাসান।
আদালতে তার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী, সঙ্গে ছিলেন নজরুল আলম রনি।
রাগীব রউফ সাংবাদিকদের বলেন, রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম নিয়ে আপিল বিভাগের এক রায়ের পর্যবেক্ষণের আলোকে এই রিট আবেদন করেছেন তারা।
ওই রায়ের পর্যবেক্ষণে বিশিষ্টজন, রাষ্ট্রীয় পদকপ্রাপ্তদের এবং খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
এছাড়া ভারত, পকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি কর্মকর্তা ছাড়াও বিভিন্ন পেশাজীবীদের ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ অন্তর্ভুক্ত করাকে যুক্তি দেখান রাগীব রউফ।
রিট আবেদনে বলা হয়, বর্তমান রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমে সম্পাদকদের কোনো অবস্থান না থাকায় সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ইচ্ছা ও মর্জিতে অনেক সময় ব্যক্তি বিশেষকে (কোনো সম্পাদককে) অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ বা সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়। এতে সম্পাদক হিসেবে অন্যরা বৈষম্যের শিকার হয়ে থাকেন।