1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৩:৪৮ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

ধর্মপাশায় ৪৬ হাওরের ফসল পানির নিচে

  • আপডেট সময় সোমবার, ৩ এপ্রিল, ২০১৭

ধর্মপাশা প্রতিনিধি ::
ধর্মপাশা উপজেলায় একের পর এক ফসলরক্ষা বাঁধ ভেঙে ও অতিবৃষ্টিতে এ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ছোটবড় ৮২টি হাওরের মধ্যে ৪৬টি হাওরের ১৫হাজার ১৮৫হেক্টর বোরো জমির ফসল এখন পানিতে তলিয়ে গেছে। গতকাল সোমবার বিকেল ৪টার দিকে এই তথ্য জানিয়েছে উপজেলা কৃষি বিভাগ। তবে ক্ষতির পরিমাণ আরও অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা। এ অবস্থায় এখানকার কৃষকরা বোরো ফসল হারিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম অস্থিরতার মধ্যে দিনযাপন করছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে ৩১হাজার ৮০০হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা হয়। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি উপজেলার চন্দ্র্র সোনার থাল হাওরের শয়তানখালি ফসলরক্ষা বাঁধের বাঁশের বেড়ার ফাঁকা অংশ নিয়ে চলতি বোরো মৌসুমে সর্বপ্রথম হাওরে ফসলহানির ঘটনার সূচনা হয়। পরবর্তীতে মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া অতিবৃষ্টি ও গত সপ্তাহ খানেক ধরে এখানকার আরও বেশ কয়েকটি ফসলরক্ষা বাঁধ ভেঙে যায়। ফসলরক্ষা বাঁধ ভেঙে ও অতিবৃষ্টি এবং নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সোমবার বিকেল চারটা পর্যন্ত এ উপজেলার গিয়ে গতকাল সোমবার বিকেল চারটা পর্যন্ত এখানকার ছোটবড় ৮২টি হাওরের মধ্যে ৪৬টি হাওরেরর ১৫ হাজার ১৮৫ হেক্টর বোরো জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা অভিযোগ জানান, হাওরের বোরো ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ নিয়ে গড়িমসি করার কারণেই এই ফসলডুবির ঘটনা ঘটেেেছ। এ উপজেলার বেশির ভাগ বোরো জমিই এখন পানির নিচে রয়েছে। উপজলা কৃষি অফিসের লোকজন সরেজমিনে মাঠে না গিয়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করছেন। এতে করে ফসলহানির সঠিক ক্ষতির পরিমাণ আড়ালেই থেকে যাচ্ছে।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের দেওলা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক নূরুল হুদা (৪৫) বলেন, কাইঞ্জা ও কাইলানী, রুই আওর সাত হাল জমিত বোরা ধান চাষ করছিলাম। বেক জমি হানিত তল অইয়া গেছে। এক মুইট ধানও ঘরও তুলতে হারছি না। অহন কীতা খাইয়া হারা বছর যাইবো তা ওপর ওয়ালাই জানেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শোয়েব আহমেদ বলেন, এ পর্যন্ত উপজেলার ৮২টি ছোট-বড় হাওরের মধ্যে ৪৬টি হাওরেরর ১৫ হাজার ১৮৫ হেক্টর বোরো জমির ধান পনিতে তলিয়ে গেছে। পানি যেভাবে বাড়ছে তাতে শেষ পর্যন্ত কী হয় তা এখন বলা যাচ্ছে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মামুন খন্দকার বলেন, সোমবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাহেবকে নিয়ে আমি নিজেও হাওরের বাঁধ পরিদর্শনে আছি। এখানকার কৃষকেরা খুবই দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতির মধ্যে আছেন। উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাওরের বোরো ফসল রক্ষায় আমার সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছি।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালিব খান বলেন, এ উপজেলার বেশির ভাগ বোরো জমির ফসলই পানিতে তলিয়ে গেছে। যেভাবে পানি বাড়ছে তাতে এক কিয়ার জমির ফসলও অবশিষ্ট থাকবেনা। এ উপজেলার ফসলহারা কৃষক পরিবারদেরকে আগামী বছর বোরো ফসল ঘরে না উঠা পর্যন্ত সরকারি সহায়তা করার জন্য দ্রুত উদ্যোগ নিতে হবে। সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে। এনজিও ঋণ উত্তোলন বন্ধ করতে হবে। এ ছাড়াও এ উপজেলার কৃষকদের জীবন রক্ষায় সকল জলমহাল উন্মুক্ত করতে হবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com