1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ১২:৩৭ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

এসিড সন্ত্রাস মামলার বিচারকার্যের বিলম্বিতা কমিয়ে আনতে হবে

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১০ মার্চ, ২০১৭

দেশে এসিড সন্ত্রাস কমেছে। কিন্তু বিলম্বিত হচ্ছে এর বিচার কার্য। ফলে এসিড সন্ত্রাসের শিকার হওয়া ভুক্তভোগীরা সময়মতো বিচার না পেয়ে হতাশায় ভুগছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ১৫ বছরে এসিড সন্ত্রাসের মামলায় ১৪ আসামির মৃত্যুদ- হলেও এর কার্যকর হয়নি। ১১৮ জনের কারাদ- হয়েছে। আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পেয়েছেন ১ হাজার ৮৬৫জন।
এসিড সন্ত্রাসের শিকার ৩০জন নারীর অভিযোগ, বিচার বিলম্বিত হওয়ায় তাঁরা হতাশায় জীবন যাপন করছেন। অথচ এসিড অপরাধ দমন আইন, ২০০২ অনুযায়ী ৯০ কর্ম দিবসের মধ্যে মামলার বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার কথা। সরকারি হিসাব অনুযায়ী ২০০২ থেকে ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত এসিড সন্ত্রাসের ঘটনায় সারাদেশে মামলা হয়েছে ২ হাজার ৮০টি। অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি দাবি করে ৮২৯টি মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ। এর মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত মামলার সংখ্যা মাত্র ১৮৮টি।
২০০২ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত এসিড মামলায় অভিযুক্তের সংখ্যা ছিল ৫ হাজারের বেশি। এর মধ্যে ১২ শতাংশ মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়। বাকি ৮৮ শতাংশ অভিযুক্ত পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ১৯৯৯ থেকে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে এসিড সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেছে ৩ হাজার ৩৪৭টি। এসব ঘটনায় এসিডে দগ্ধ হয়েছে ৩ হাজার ৭০৪ জন। এসিড হামলা হয়েছে ৩ হাজার ৭২১ বার।
বিচার বিলম্বিত হওয়ার কারণ হিসেবে বিজ্ঞজনরা বলছেন, পুলিশ প্রভাবিত হয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। রাষ্ট্রের চোখে সবাই সমান হলেও কার্যক্ষেত্রে তা দেখা যায় না। অপরাধী চোখের সামনে ঘুরে বেড়ায়, পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে না। সাক্ষীদের সুরক্ষা না থাকার কারণে তাঁরা ঠিকমতো আদালতে হাজির হন না। দীর্ঘসূত্রিতা ও সময় ক্ষেপণের কারণে এসিড মামলার অপরাধীরা ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান বলছে, এসিড সন্ত্রাসের মামলাগুলোর বেশিরভাগ আসামিই খালাস পেয়ে গেছে। মাত্র ২৫ শতাংশ মামলায় অভিযুক্তদের সাজা হয়েছে। প্রতি চারজন আসামির তিনজনই খালাস পেয়েছে। অর্থাৎ চারজন আক্রান্ত নারীর তিনজনই বিচার পাননি।
এসিড সংক্রান্ত মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে। তাছাড়া সংশ্লিষ্ট জেলা কমিটির ও জেলার সরকারি কৌঁসুলীকে মামলার প্রতি আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। অপরাধীদের দ্রুত সাজার আওতায় আনতে পুলিশের ভূমিকা এবং তাদের কার্যকারিতাকে আরো গুরুত্বভাবে দেখতে হবে। মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করতে গুরুত্ব সহকারে তদারকি চালাতে হবে। তাহলে এসিড সন্ত্রাস মামলাগুলোর বিচারকার্যের বিলম্বিতা কমিয়ে আনতে হবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com