দিনে দিনে শহরে হিজড়াচক্র বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এদের দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দিলেই শুরু করে দেয় নানাভাবে হয়রানি।
শহরে খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ী, বিভিন্ন কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের সময় বর-কনে এমনকি রাস্তায় বরের গাড়িবহর আটকিয়ে চাঁদা আদায় করে থাকে। তাদের অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি এবং গালাগালিতে লোকেরা চাঁদা দিতে বাধ্য হন। বর ও কনের পক্ষ থেকে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। চাঁদা না দিলে বিয়ের অনুষ্ঠানে হট্টগোল শুরু করে। তাছাড়া অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি এবং কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তায় বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন অনুষ্ঠানে আসা লোকজন।
শহরে কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ীরা ওই চক্রের অত্যাচারে জিম্মি। সকাল হলেই দলবদ্ধ হয়ে কাঁচা বাজারে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে শাক-সবজি জোরপূর্বক নিয়ে যায়। ব্যবসায়ীরা কিছু বললেই গালি দেয় অশ্লীল ভাষায়।
প্রতিদিন দোকানে দোকানে চাঁদাবাজি করাটা তাদের নিয়মে পরিণত করেছে। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, তারা কষ্ট করে ব্যবসা করে থাকেন, ব্যবসায় সামান্য লাভ করে কষ্টে সংসার চালান, কিন্তু হিজড়াচক্র জোরপূর্বক জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়ায় তাদের রিজিকে হাত পড়ে।
হিজড়ার দল রীতিমতো সাধারণ মানুষ থেকে ব্যবসায়ী, বিয়ের অনুষ্ঠান এবং বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়েছে। তাদেরকে এখনই প্রতিরোধ করতে হবে। তার জন্য প্রশাসনকেই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। তা না হলে ভবিষ্যতে এদের অত্যাচার বেড়েই চলবে। আমরা আশাকরি প্রশাসন এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।