1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ১২:০৪ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করুন

  • আপডেট সময় সোমবার, ৬ মার্চ, ২০১৭

ধর্মপাশা উপজেলার ৮টি হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ অরক্ষিত রয়েছে। স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ হাওরগুলোতে মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ কাজ হয়েছে। আবার কোনো কোনো হাওরের বাঁধে কাজ শুরু হয়নি। যার ফলে কৃষকরা তাদের বোরো ফসল নিয়ে শঙ্কিত রয়েছেন। জানাগেছে, উপজেলার চন্দ্রসোনার থাল হাওর, ধানকুনিয়া, জয়দলা, সোনামড়ল, ঘোরাডোবা, কাইলানী, ঘুরমা এবং ঘুরমার বর্ধিতাংশসহ ৮টি হওরের অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। এই ৮টি হাওরে রয়েছে ৩৬টি প্রকল্প। এই প্রকল্পগুলোর বিপরীতে ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। গত বছরের ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে এই বাঁধগুলোর মেরামত কাজ শুরু হওয়ার কথা, কিন্তু পাউবো’র খেয়ালিপনায় কাজ শুরু হয় চলতি বছরের জানুয়ারিতে। ফলে বাঁধ দিয়ে পানি ঢুকতে শুরু করে শয়তানখালি ও পাগুয়া হাওরে। বাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে ৩৭৫ একর বোরো জমি পানিতে তলিয়ে যায়।
চন্দ্রসোনার থাল হাওরের পাগলাখালী ফসল রক্ষা বাঁধের ভাঙা বন্ধকরণ ও মেরামতের কাজ চলছে কচ্ছপ গতিতে। জয়শ্রী ও ধর্মপাশা সদর ইউনিয়নের মধ্যবর্তী কাইঞ্জা ও মগরাইন ফসল রক্ষা বাঁধে বরাদ্দ ছিল ৩ লাখ টাকা। কাইঞ্জা বাঁধের অংশে কাজ শুরু হলেও মুগরাইন বাঁধে এখনো কাজ শুরুই হয়নি।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা নানা কথা বলে কৃষকদের চোখ ফাঁকি দিয়ে চলছেন। চন্দ্র সোনার থাল হাওর, ধানকুনিয়া ও জয়ধলা হাওরের ১৮টি প্রকল্পের কাজের দায়িত্বে থাকা পাউবো’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর হোসেনের বক্তব্য শুধু যে মিথ্যা তাই নয়, তা মনগড়া ও হাস্যকর বটে। তিনি বলেছেন, সেখানে এখন পর্যন্ত গড়ে কাজ হয়েছে ৬০ শতাংশ। একই কথা বলছেন ঘোরাডোবা, কাইলানী, ঘুরমা ও ঘুরমার বর্ধিতাংশে হাওরের ১২টি প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী প্রকৌশলী আলী রেজা। তাছাড়া সোনামড়ল হাওরের ৬টি প্রকল্প কাজের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী প্রকৌশলী নিহার রঞ্জন দাস দাবি করেন, তাঁর দায়িত্বে থাকা বাঁধগুলোর কাজ ৫০ থেকে ৫৫ শতাংশ শেষ হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের মিথ্যা তথ্যে সংবাদ মাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে কৃষকদের মনে যেমন ক্ষোভের সঞ্চার সৃষ্টি করেছেন তেমনি এটি একটি অপরাধজনক ঘটনাও বটে। একমাত্র বোরো ফসলের ওপর নির্ভরশীল আমাদের জেলার কৃষক। বোরো ফসল ঘরে তুলতে না পারলে কৃষকদের কান্না থামবে না। অসহায় হয়ে পড়বে সেসব পরিবার। তাই মিথ্যা আর বিভিন্ন অজুহাত সৃষ্টি না করে দিনরাত কাজ করতে হবে ঠিকাদার ও দায়িত্বে থাকা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com