1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ১১:৪৫ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

ক্যান্সার মোকাবিলায় সচেতনতা বৃদ্ধি জরুরি

  • আপডেট সময় শনিবার, ৪ মার্চ, ২০১৭

আজ বিশ্ব ক্যান্সার দিবস। এ দিবস পালনের লক্ষ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু রোধ করা। বর্তমানে পৃথিবীতে প্রতি বছর ৮২ লাখ মানুষ ক্যান্সারে মৃত্যুবরণ করে। এর মধ্যে ৪০ লাখ মানুষের অকালমৃত্যু হয় ৩০ থেকে ৬৯ বছরের মধ্যে। বিশ্ব ক্যান্সার দিবস সুযোগ করে দেয় গণমাধ্যম ও মানুষের অন্তরে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে সচেতনতার চিত্র গেঁথে দিতে।
২০১৬-২০১৮ খ্রি. পর্যন্ত এই তিন বছরের জন্য এই দিবসের প্রতিপাদ্য হলো ‘উই ক্যান, আই ক্যান’, ‘আমরা পারি, আমি পারি’। ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণে কিছু কাজ সম্মিলিতভাবে সফল করতে পারি। আবার ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যেকেই পারি ক্যান্সারের বোঝা লাঘবে ভূমিকা রাখতে। আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সারের (আইএআরসি) অনুমিত হিসাব অনুযায়ী প্রতিবছর বাংলাদেশে এক লাখ ২২ হাজার মানুষ নতুন করে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। বর্তমান বাস্তবতায় এই বিপুলসংখ্যক ক্যান্সারের রোগীকে চিকিৎসা দেওয়ার সামর্থ্য নেই।
২০০৮ সালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে নিবন্ধকারের নেতৃত্বে একটি জরিপে দেখা যায়, পূর্ববর্তী বছরে সারা দেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে প্রায় ৩০ হাজার ক্যান্সারের রোগী চিকিৎসা গ্রহণ করেছে, যা অনুমিত নতুন রোগীর সংখ্যার এক-তৃতীয়াংশের কম। দুই-তৃতীয়াংশের বেশি রোগী দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বাইরে থেকে যাচ্ছে। এদের কিছু অংশ বিদেশে যাচ্ছে চিকিৎসার জন্য। কিছু রোগী হাতুড়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হচ্ছে।
এ কথা সত্য যে, গত দুই দশকে দেশে ক্যান্সারের চিকিৎসা ব্যবস্থার লক্ষণীয় অগ্রগতি হয়েছে। দেশের ক্যান্সার চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে অপারেশনের জন্য গড়ে প্রায় এক মাস, কেমোথেরাপির জন্য দু-তিন সপ্তাহ, আর বিকিরণ চিকিৎসার জন্য প্রায় চার মাস অপেক্ষা করতে হয়। যা কোনোভাবে কাম্য নয়। ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর এই দীর্ঘ অপেক্ষমাণ তালিকা কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
ক্যান্সার রোগ চিকিৎসা সুবিধা বাড়ার পরও সেবাপ্রাপ্তির এই অগ্রহণযোগ্য মান ও গতির পেছনে প্রধান কারণ অতিকেন্দ্রিভূত চিকিৎসা সুবিধা। সরকারি ১৫টি মেডিক্যাল কলেজে রেডিওথেরাপি (ক্যান্সার) বিভাগ আছে। ৯টিতে এমনকি বিকিরণ চিকিৎসার যন্ত্র আছে। সহায়ক চিকিৎসক যেমন শল্যবিদ, স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ থাকা সত্ত্বেও আন্তঃবিভাগ সমন্বয় ও রোগীদের আস্থার অভাবে ক্যান্সার রোগীদের কাক্সিক্ষত সেবা দিতে পারছে না এই পর্যায়ের হাসপাতালগুলো। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পদশূন্য থাকা ও অনুপস্থিতি সেবা প্রদানে বিঘ্নের কারণ।
আমরা মনে করি, ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধে বেশি জোর দেওয়া দরকার ক্যান্সারের প্রাথমিক রোগ প্রতিরোধের ওপর। ক্যান্সার যাতে না হয়, এ জন্য প্রয়োজন ক্যান্সারের ঝুঁকি এড়িয়ে চলা ও প্রয়োজনীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এ ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে দেশের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। পাশাপাশি সারা দেশে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরি, মেডিক্যাল কলেজ ও জেলা হাসপাতালে কর্মরত প্যাথলজিস্ট, সার্জন, গাইনোকোলজিস্ট, নার্স ও সহায়ক জনবলের জন্য উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
ক্যান্সার মোকাবিলায় সচেতনতা বৃদ্ধি জরুরি
আজ বিশ্ব ক্যান্সার দিবস। এ দিবস পালনের লক্ষ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু রোধ করা। বর্তমানে পৃথিবীতে প্রতি বছর ৮২ লাখ মানুষ ক্যান্সারে মৃত্যুবরণ করে। এর মধ্যে ৪০ লাখ মানুষের অকালমৃত্যু হয় ৩০ থেকে ৬৯ বছরের মধ্যে। বিশ্ব ক্যান্সার দিবস সুযোগ করে দেয় গণমাধ্যম ও মানুষের অন্তরে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে সচেতনতার চিত্র গেঁথে দিতে।
২০১৬-২০১৮ খ্রি. পর্যন্ত এই তিন বছরের জন্য এই দিবসের প্রতিপাদ্য হলো ‘উই ক্যান, আই ক্যান’, ‘আমরা পারি, আমি পারি’। ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণে কিছু কাজ সম্মিলিতভাবে সফল করতে পারি। আবার ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যেকেই পারি ক্যান্সারের বোঝা লাঘবে ভূমিকা রাখতে। আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সারের (আইএআরসি) অনুমিত হিসাব অনুযায়ী প্রতিবছর বাংলাদেশে এক লাখ ২২ হাজার মানুষ নতুন করে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। বর্তমান বাস্তবতায় এই বিপুলসংখ্যক ক্যান্সারের রোগীকে চিকিৎসা দেওয়ার সামর্থ্য নেই।
২০০৮ সালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে নিবন্ধকারের নেতৃত্বে একটি জরিপে দেখা যায়, পূর্ববর্তী বছরে সারা দেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে প্রায় ৩০ হাজার ক্যান্সারের রোগী চিকিৎসা গ্রহণ করেছে, যা অনুমিত নতুন রোগীর সংখ্যার এক-তৃতীয়াংশের কম। দুই-তৃতীয়াংশের বেশি রোগী দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বাইরে থেকে যাচ্ছে। এদের কিছু অংশ বিদেশে যাচ্ছে চিকিৎসার জন্য। কিছু রোগী হাতুড়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হচ্ছে।
এ কথা সত্য যে, গত দুই দশকে দেশে ক্যান্সারের চিকিৎসা ব্যবস্থার লক্ষণীয় অগ্রগতি হয়েছে। দেশের ক্যান্সার চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে অপারেশনের জন্য গড়ে প্রায় এক মাস, কেমোথেরাপির জন্য দু-তিন সপ্তাহ, আর বিকিরণ চিকিৎসার জন্য প্রায় চার মাস অপেক্ষা করতে হয়। যা কোনোভাবে কাম্য নয়। ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর এই দীর্ঘ অপেক্ষমাণ তালিকা কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
ক্যান্সার রোগ চিকিৎসা সুবিধা বাড়ার পরও সেবাপ্রাপ্তির এই অগ্রহণযোগ্য মান ও গতির পেছনে প্রধান কারণ অতিকেন্দ্রিভূত চিকিৎসা সুবিধা। সরকারি ১৫টি মেডিক্যাল কলেজে রেডিওথেরাপি (ক্যান্সার) বিভাগ আছে। ৯টিতে এমনকি বিকিরণ চিকিৎসার যন্ত্র আছে। সহায়ক চিকিৎসক যেমন শল্যবিদ, স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ থাকা সত্ত্বেও আন্তঃবিভাগ সমন্বয় ও রোগীদের আস্থার অভাবে ক্যান্সার রোগীদের কাক্সিক্ষত সেবা দিতে পারছে না এই পর্যায়ের হাসপাতালগুলো। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পদশূন্য থাকা ও অনুপস্থিতি সেবা প্রদানে বিঘ্নের কারণ।
আমরা মনে করি, ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধে বেশি জোর দেওয়া দরকার ক্যান্সারের প্রাথমিক রোগ প্রতিরোধের ওপর। ক্যান্সার যাতে না হয়, এ জন্য প্রয়োজন ক্যান্সারের ঝুঁকি এড়িয়ে চলা ও প্রয়োজনীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এ ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে দেশের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। পাশাপাশি সারা দেশে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরি, মেডিক্যাল কলেজ ও জেলা হাসপাতালে কর্মরত প্যাথলজিস্ট, সার্জন, গাইনোকোলজিস্ট, নার্স ও সহায়ক জনবলের জন্য উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com