1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৮:২৬ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

জেলায় ১৩ মাসে ৬৫ হত্যাকাণ্ড

  • আপডেট সময় সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

মো. আমিনুল ইসলাম ::
সুনামগঞ্জ জেলায় গত ১৩ মাসে ৬৫টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সচেতনমহল। তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বিরোধের জের ধরে হত্যাকাণ্ডে ঘটনা বাড়তে থাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীকে আরো কঠোর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
জেলা পুলিশের দেয়া তথ্যে, বিগত ১ বছর ১ মাস ১৭দিন সময়ের মধ্যে জেলায় নানা ইস্যুতে হামলা-হাঙ্গামায় ৬৫টি হত্যাকাণ্ডে ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সময়েই ঘটেছে ৫৫টি খুনের ঘটনা। গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার আওতাধীন এলাকাতে খুন হয়েছেন ৪জন। দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানায় ৭জন, তাহিরপুর থানায় ৬জন, দোয়ারাবাজারে ৬জন, বিশ্বম্ভরপুরে ৪জন, দিরাইয়ে ৫জন, ধর্মপাশায় ৩জন, শাল্লায় ২জন, মধ্যনগরে ১জন, জগন্নাথপুরে ২জন খুন হয়েছেন। গত বছর সবচেয়ে বেশি খুনের ঘটনা ঘটে ছাতকে। সেখানে জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সময়ে খুনের সংখ্যা ১৫।
এসব ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান পরিচালনার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন থানা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে বেশ কয়েকটি হত্যাকাণ্ডে আসামিরা। উদ্ধার করা হয় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র।
এদিকে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১৭ ফেব্রুযারি পর্যন্ত পরিসংখ্যানে জেলায় খুনের ঘটনা ঘটেছে আরো ১০টি। এর মধ্যে সুনামগঞ্জ সদরে খুন হয়েছে ১টি। জগন্নাথপুর থানা ১টি, ছাতকে ১টি, বিশ্বম্ভরপুরে ১টি, দিরাইয়ে ১টি, শাল্লায় ১টি, মধ্যনগরে ১টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। চলতি বছরের এক মাস ১৭দিন সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি খুনের ঘটনা ঘটেছে দোয়ারাবাজারে। সেখানে খুন হয়েছেন ৩জন।
জেলায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সুধীজন। এ ব্যাপারে অ্যাডভোকেট এনাম আহমেদ বলেন, ‘বিচারহীনতার সংস্কৃতি সারাদেশের ন্যায় আমাদের জেলায়ও দিন দিন খুনের ঘটনা বৃদ্ধি করছে। পুলিশের আইনি কার্যক্রমে ও তদন্ত কার্যক্রমে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে মারামারি-হানাহানি বাড়ছে। যদি রাজনৈতিক প্রভাব থেকে পুলিশকে মুক্ত করা যেত এবং সঠিক তদন্তে প্রাপ্ত তথ্যাবলি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী প্রকাশ করে অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে পারতো তাহলে খুনের ঘটনা খুব একটা ঘটতো না।’
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অ্যাডভোকেট দেবদাস চৌধুরী রঞ্জন বলেন, ‘দিন দিন আমাদের জেলায় খুনের ঘটনা বাড়ছে এবং এর পেছনে একটি বড় কারণ হচ্ছে আমাদের মধ্যে দিন দিন সামাজিক মূল্যবোধটা হারিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি আমাদের পরস্পরের প্রতি যে ভ্রাতৃত্ববোধ ছিল তা এখন খুব একটা নেই বললেই চলে। কেবল আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের দিকে ভর করে শতভাগ অপরাধ কমানো যাবে বলে আমি মনে করি না। সাংস্কৃতিক ও সাহিত্যচর্চার মধ্য দিয়ে এ ধরনের ঘটনা আমরা কমিয়ে আনতে পারি। এছাড়া ধর্মীয় কার্যাবলী থেকে আমরা অনেকটা দূরে সরে যাচ্ছি। কোন ধর্মপরায়ণ মানুষ কখনো অপরাধমূলক কাজ করতে পারে না। আর পরিবারের দায়িত্বশীলতারও অভাব থাকায় এ ধরনের ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে।’
পুলিশ সুপার মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ‘জেলায় যেসব খুনের ঘটনা ঘটেছে এর মধ্যে রাজনৈতিকভাবে কোন খুনের ঘটনা নেই বললেই চলে। তবে জলমহাল দখল নিয়ে যে কিছু ঘটনা ঘটেছে, আমরা এ ধরনের ঘটনা কমিয়ে আনতে জলমহালের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি। তাদের ছোট বড় সব ধরনের বিরোধ নিষ্পত্তিতে আমরা কাজ করেছি। আমরা অধিকাংশ ঘটনাতেই অপরাধীকে ধরতে ও তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছি। বর্তমানে পুলিশ হার্ডলাইনে রয়েছে এবং আমাদের বিশেষ অভিযান চলছে। জেলার সকল থানায় আলাদা আলাদাভাবে আমাদের পুলিশের বিশেষ দল অপরাধ দমনে আরো সক্রিয়ভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।’

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com