সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি, নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের কাঠামো, নতুন সিইসি ও নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গ, দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখা, অঙ্গ সংগঠনগুলোকে আরও বেশি সক্রিয় করাসহ আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনা ঠিক করতে কেন্দ্রীয় নেতাদের মতামত জানতে ধারাবাহিক বৈঠক শুরু করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠকে খালেদা জিয়া তাদেরকে আরও সক্রিয় হওয়ার পরার্মশ দিয়েছেন এবং আগামী নির্বাচনে যারা দলের প্রার্থী হতে চায় তাদের বিষয়ে খোঁজখবর রাখার কথা বলেছেন। বৈঠক সূত্রে এমনটা জানা গেছে।
গত বছরের ১৯ মার্চ দলের জাতীয় কাউন্সিলের পর এই প্রথম জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন খালেদা জিয়া। গত দুই দিনে তিনি দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। পর্যায়ক্রমে দলের অন্যান্য নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন। এছাড়া সহায়ক সরকারের রূপরেখা ঘোষণার আগে তিনি দল সমর্থক বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবীদের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের মতামত জানবেন। দলটির নীতিনির্ধারণী ফোরামের এক নেতা এমনটি জানিয়েছেন।
সাংবিধানিকভাবে ২০১৮-১৯ সালের জানুয়ারির মধ্যেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেই হিসেবে বড় রাজনৈতিকদলগুলো এখন থেকেই নির্বাচনের লক্ষ্যে হোম ওয়ার্ক শুরু করেছে দলটি।
বিএনপির এক নীতিনির্ধারক জানান, নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের জন্য সরকারের ওপরের নানাভাবে চাপ সৃষ্টির পাশাপাশি দলকে পুরোপুরি নির্বাচনের উপযোগী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিএনপি চেয়ারপারসন এই সিরিজ বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর ফলে তিনি যেমন নেতাদের মতামত জানতে পারছেন। অপর দিকে নেতারাও দেশের ও দলের সার্বিক অবস্থা নেত্রীর সামনে তুলে ধরার সুযোগ পাচ্ছেন। এক্ষেত্রে নেতৃবৃন্দের দেওয়া মতামত লিপিবদ্ধ করা হচ্ছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে এই মতামত গুরুত্ব রাখবে। এবং দলের নীতিনির্ধারকদের কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সহজ হবে।
এদিকে কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টাদের বৈঠকে খালেদা জিয়া নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের নেতাদের নিজ-নিজ নির্বাচনী এলাকায় সভা-সমাবেশ ও জনগণের দোরগোড়ায় যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি সরকারের নানা অনিয়মসহ আওয়ামী লীগের নানা কর্মের স্থানীয়ভাবে জনগণকে জানানোর তাগিদ দিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সিইসি কে এম নুরুল হুদার নিরপেক্ষতা, বিগত দিনের কার্যক্রম নিয়ে অংশগ্রহণকারী প্রায় প্রত্যেকেই কথা বলেন।
বৈঠক সূত্র জানায়, সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়ার বিষয় নিয়ে যেসব আলোচনা চলছে তা তুলে ধরা হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টার বৈঠকে সবার প্রতিক্রিয়া শোনেন খালেদা জিয়া। নেতাদের মতামত শোনার পর খালেদা জিয়া নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে যার যার নির্বাচনী এলাকায় যেতে নির্দেশনা দিয়েছেন এবং তাদেরকে নিজ নিজ জেলায় সভা ও সমাবেশ করার পরামর্শ দেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেন, নতুন ইসি ও সহায়ক সরকারসহ নানা বিষয়েই আলোচনা হয়েছে। দলের চেয়ারপারসন প্রত্যেককেই যার যার এলাকায় যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।