সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র হিসেবে অবশেষে দায়িত্ব নিচ্ছেন জি কে গউছ। প্রায় দুই বছর কারাভোগের পর তিনি আবারও পৌরসভার দায়িত্ব নিয়ে ফিরছেন। ইতিমধ্যে আদালত থেকে তার সাময়িক বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করা হয়েছে।
খুব শিগগিরই দায়িত্ব বুঝে পাবেন বলে প্রত্যাশা করেন মেয়র জি কে গউছ। তিনি বলেন, চরম প্রতিকূলতার মাঝেও পৌরসভার ভোটাররা তাকে কারাগারে রেখে নির্বাচিত করেছেন। এজন্য তিনি ভোটারদের কাছে চিরদিন ঋণী থাকবেন। পাশাপাশি পৌরবাসী যে উন্নয়নের প্রত্যাশা নিয়ে তাকে ভোট দিয়েছেন তার ধারাবাহিকতা রক্ষারও অঙ্গীকার করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, পূর্বেও দুইবার তিনি পৌরসভার মেয়র ছিলেন। সে হিসেবে তার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ওই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে পৌরসভার উন্নয়নে তিনি সর্বশক্তি নিয়োগ করবেন। এ ব্যাপারে সরকারের সব মহলের সহযোগিতা পাবেন বলেও তিনি আশা করেন।
শিগগিরই আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী যথাযথ কর্তৃপক্ষ তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করে জি কে গউছ জানান, মানসিকভাবে তিনি প্রস্তুত আছেন। যখনই দায়িত্ব দেয়া হবে তখনই দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত আছেন।
জানা যায়, সোমবার হাইকোর্ট থেকে মেয়র জি কে গউছের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করেছেন। বিচারপতি নাইমা হায়দার ও খান মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ তার বরখাস্তের আদেশ স্থগিতের আদেশ দেন।
এর আগে ২০১৬ সালের ২০ মার্চ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় বিভাগ তাকে মেয়র পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে। এ আদেশের বিরুদ্ধে রোববার আদালতে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন গউছ। সোমবার রিটের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। তার পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন সিনিয়র আইনজীবী স.ম. রেজাউল করিম ও আব্দুর রাজ্জাক রাজু। শুনানি শেষে আদালত তার বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করেন।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় দুর্বৃত্তদের গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়াসহ ৫ জন। এ ঘটনায় দায়ের করা হত্যা এবং বিস্ফোরক মামলার সর্বশেষ তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের শেষের দিকে অধিকতর অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেন।
অভিযোগপত্রে হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জি কে গউছ ও সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ মোট ৩২ জনকে আসামি করা হয়। একই বছর ২৮ ডিসেম্বর গউছ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। দীর্ঘ দুই বছর কারাগারে আটক থাকার পর গত ৪ জানুয়ারি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান জি কে গউছ।
এদিকে, কারাগারে আটক থাকা অবস্থায়ই ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত পৌর নির্বাচনে তিনি মেয়র হিসেবে টানা তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হন।