সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
কারা আইএস, কোথায় আইএস তা আমরা হন্যে হয়ে খুঁজছি। কোনো হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটলে বলা হয় এটি আইএস ঘটিয়েছে। কিন্তু সরকারের নিরাপত্তা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো হন্যে হয়ে আইএস খুঁজছে। দেশে আইএস আছে কি না তা খুঁজে বের করতে সরকার ব্যাপক চেষ্টা চালাচ্ছে।
শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে আহসানউল্লাহ মাস্টারের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচলা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সরকারকে অস্থিতিশীল ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করার জন্য টার্গেট কিলিং হচ্ছে। সরকারকে নিয়ে দেশি ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। টার্গেট কিলিং হচ্ছে যাতে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে যে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা চলছে তা থামিয়ে দেওয়ার জন্যই এ টার্গেট কিলিং। যারা স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিলো, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিলো তারাই দেশে একের পর হত্যা, সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, কোনো ষড়যন্ত্র সহ্য করা হবে না। এসব হত্যাকান্ডের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে আইনের সামনে নিয়ে আসবো। আমরা কাউকে ছাড় দিচ্ছি না। বঙ্গবন্ধু, আহসানউল্লাহ মাস্টার ও ২১ আগস্ট খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে আদালতের রায় কার্যকর করা হবে।
স্বাধীনতা যুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির প্রসঙ্গে সংবাদিকদের এক প্রশ্নর উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধী নিজামীর ফাঁসির রায় হয়েছে। রায় আইন অনুযায়ী কার্যকর হবে। এ রায় কেন্দ্র করে জামায়াতের হরতাল নিয়ে নানা কথা হচ্ছে। জনগণ এ হরতাল মোকাবিলা করবে। কেউ কোনো বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে তা কঠোর হাতে দমন করা হবে।
আলোচনা সভায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর যারা অন্যায়, নির্যাতনের প্রতিবাদ করেছিলো তাদের হত্যা করা হয়েছিলো। তারা হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। সেই হত্যাকান্ডের শিকার আহসানউল্লাহ মাস্টার। আজও তারা সেই ধারাবাহিকতায় হত্যাকান্ড চালাচ্ছে। শেখ হাসিনার সরকারকে উৎখাত করার জন্য ষড়যন্ত্র চলছে।
আলোচনা সভায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে এ হত্যাকান্ড শুরু হয়। তখন বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হলে এ ধরনের হত্যাকান্ড আর সংগঠিত হতো না। সেটা তো হয়নি, হত্যাকারীদের আরও আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া হয়েছে। আজ আহসানউল্লাহ মাস্টারকে স্মরণ করে তার আদর্শ ধারণ করতে হবে।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অ্যাডভোকেট আব্দুল বাতেন। আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, শ্রমিক নেতা ইসরাফিল আলম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক শাহে আলম মুরাদ, অধ্যাপক আবু তাহের, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রাহমান প্রমুখ।