সাইফ উল্লাহ ::
কালবৈশাখী ঝড়ে জামালগঞ্জ উপজেলার ভীমখালি ইউনিয়নের ঘাগটিয়া ও বড় ঘাগটিয়া গ্রামের প্রায় অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ী লন্ডভন্ড হয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে কালবৈশাখী ঝড়ে দু’টি গ্রামে ঘরবাড়ী, গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গতকাল বুধবার সকালে জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টিটন খীসা ও ভীমখালি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মন্নান তালুকদার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।
জানাযায়, কালবৈশাখী ঝড়ে ঘাগটিয়া গ্রামের ফারুক মিয়া, আলী আমজাদ, লালন মিয়া, আলী আফজল, মতলিব মিয়া, আব্দুস সোবাহান, তহুর মিয়া, ফয়জুল রহমান, তাহের মিয়া, সামছুল হক, মাসুক মিয়া, খলিলুর রহমান, রমজান আলী, ফটিক মিয়া, পঞ্চমী বালা দাস, তারা মিয়া, মনসুর আলী, রোকেয়া বেগম, ফজলু মিয়া, আবুল কালাম, বড় ঘাগাটিয়া গ্রামের আজিজুর রহমান, কাজল মিয়া, গোলামীপুরের সুমন দাসের ঘরসহ প্রায় অর্ধ শতাধিক বাড়ি ঘরের ক্ষতি হয়।
অপরদিকে সাচনা বাজার ইউনিয়নের দুর্লভপুর গ্রামে ১০টি ঘরবাড়ি ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়েছে বলে জানাগেছে।
ভীমখালি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মন্নান তালুকদার বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। মঙ্গলবারের কালবেশাখী ঝড়ে এলাকার হতদরিদ্র পরিবারগুলোর প্রায় ৩০ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। বর্তমানে অনেক পরিবার খোলা আকাশের নিচে বাস করছে। তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে শীঘ্রই জমা দিবেন বলে জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টিটন খীসা বলেন, সরেজমিনে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। চেয়ারম্যান সাহেবকে বলেছি অতিদ্রুত তালিকা দেওয়ার জন্য। তালিকা পেয়ে উপজেলা পরিষদ থেকে সহযোগিতা করার জন্য চেষ্টা করবো।