1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ০৮:৪৩ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602
সংবাদ শিরোনাম
এক ওয়ার্ডের প্রার্থী পেয়েছেন আরেক ওয়ার্ডে চাকরি জন্মহার কমে যাওয়াকে ‘জাতীয় জরুরি অবস্থা’ বলছে দক্ষিণ কোরিয়া বিসিএসে পিছিয়ে নারীরা, ১০০ ক্যাডারে ৭৫ জনই পুরুষ দেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ই-সাইন সার্টিফিকেট চালু করল শাবিপ্রবি ঢাবিতে মাস্টার্সে ভর্তিতেও পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা বিশ্বম্ভরপুরে আ.লীগ সমর্থিত প্রার্থীকে নির্বাচনী অফিস দিলেন বিএনপি নেতা! মধ্যনগরে পলাতক আসামি গ্রেফতার সরকারি হাসপাতালে অবৈধ ক্যানটিন ও ওষুধের দোকান থাকবে না, চালু হবে মডেল ফার্মেসি সাংবাদিক শেরে আলমের পিতৃবিয়োগ তাহিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে ৬ দোকান পুড়ে ২৫ লাখ টাকার ক্ষতি : আগুন দেখতে গিয়ে নিহত ১

কোটি কোটি টাকা অপচয় : খাসজমি রেখে ব্যক্তি মালিকানাধীন ভূমি অধিগ্রহণ বাড়ছে

  • আপডেট সময় সোমবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৮

বিশেষ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জ শহরের আশপাশে ও পৌরসভার অভ্যন্তরে সরকারের ১ নং খতিয়ানে নিষ্কণ্ঠক কয়েক’শ একর মূল্যবান ভূমি থাকার পরও সেই ভূমিতে সরকারি স্থাপনা নির্মাণের বদলে কোটি কোটি টাকা খরচ করে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি ক্রয়ের অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন সময়ে সচেতন জনগনের পক্ষ থেকে সরকারি ভূমিতে সরকারের অর্থ বাঁচিয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠান নির্মাণের লিখিত আবেদন জানানো গেলেও রহস্যজনক কারণে সংশ্লিষ্টরা ব্যক্তি মালিকানাধীন ভূমি অধিগ্রহণের দিকেই ঝুঁকছেন।
জানা গেছে সুনামগঞ্জ পৌর শহরে ৯টি মৌজা রয়েছে। এসব মৌজায় প্রায় ৩শ একরেরও বেশি ভূমি রয়েছে। ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ উন্নয়ন উপকেন্দ্র, পুষ্টি বিজ্ঞান কেন্দ্র, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং সম্প্রতি নার্সিং ইনস্টিটিউট ও হেলথ টেকনলজি কেন্দ্র, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। নার্সিং ইনস্টিটিউট ও হেলথ টেকনলজি কেন্দ্র নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন। সরকারিভাবে ভূমি অধিগ্রহণের জন্য ব্যক্তি মালিকানাধীন আহমদপুর মৌজায় ভূমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকারও বেশি শতক দরে এই ভূমি অধিগ্রহণ সম্পন্নের পথে। জানা গেছে হাছননগরে, ঝাউয়ার হাওরে, নবীনগরে, এতিমখানা সংলগ্ন সরকারের কয়েকশ একর নিষ্কণ্ঠক ভূমি রয়েছে ১নং খতিয়ানে। এসব ভূমিতে সরকারি স্থাপনা নির্মিত হলে সরকারের কয়েকশ কোটি টাকা বাচাঁনোর সুযোগ ছিল। কিন্তু সেই ভূমিতে সরকারি স্থাপনা তৈরি না করে ব্যক্তি মালিকানাধীন ভূমি প্রচলিত বাজারদর থেকে একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তিন থেকে চারগুন বেশি মূল্যে সরকারকে কিনতে হচ্ছে। এতে সরকারের কোটি কোটি টাকা অপচয় হচ্ছে। সচেতন লোকজন জানিয়েছেন সরকারি ভূমিতে সরকারি স্থাপনা নির্মিত হলে সরকারের মোটা অংকের টাকা বাঁচতো।
জানা গেছে, সম্প্রতি ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে হেলথ টেকনোলজি ও নার্সি ইনস্টিটিউট নির্মাণে সরকার ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া প্রায় সম্পন্ন করে ফেলেছে। এই টাকা অপচয় না করে সুনামগঞ্জ মুক্তিযুদ্ধ সংসদের সাবেক ডেপুটি সদস্য সচিব মালেক হুসেন পীর সুনামগঞ্জ পৌরসভার অন্তর্গত ১১৭নং জে.এল সংক্রান্ত রসুলপুর মৌজার ১নং খাস খতিয়ানের ৪৪নং দাগে ৭২.২৫ একর খাস ভূমি বিদ্যমান রয়েছে মর্মে বৈধ কাগজপত্র প্রদর্শন করে দুটি আবেদন করেছেন মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসন বরাবরে। তিনি সরকারের প্রতিষ্ঠানের জন্য সরকারের কোটি কোটি টাকা অপচয় না করে এই ভূমিতে সরকারি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার আবেদন জানিয়েছেন। জানা গেছে এই দুটি প্রতিষ্ঠান নির্মাণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। দুটি প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণের বিষয়টি ঠিক থাকলে সরকারকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা গুনতে হবে বলে আবেদনে উল্লেখ করেন মালেক পীর। এভাবে পাসপোর্ট অফিস নির্মাণ, বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মাণ, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও পুষ্টি অধিদপ্তর নির্মাণে অনিয়মের সুযোগ নিয়ে একটি সিন্ডিকেট ব্যক্তি মালিকানাধীন ভূমি অধিগ্রহণ করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ আছে।
মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান বলেন, আমাদের শহরের আনাচে কানাচে কয়েক শ একর মূল্যবান খাসভূমি পতিত পড়ে আছে। এই ভূমিতে সরকারি স্থাপনা নির্মিত হলে সরকারের কোটি কোটি টাকা বাঁচতো। কিন্তু তা না করে প্রতিনিয়ত একটি মধ্যস্বত্তভোগীদের মাধ্যমে ব্যক্তি মালিকানাধীন ভূমি অধিগ্রহণ করে তাদের পকেটে কোটি কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে। এতে সরকারের অপচয় হচ্ছে।
মুক্তিযোদ্ধা মালেক হুসেন পীর বলেন, আমি সম্প্রতি দুটি আবেদন করেছি মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসক বরাবরে। দুটি আবেদনেই রসুল পুর মৌজার ৭১ একর জমিতে নার্সিং ইনস্টিটিউট ও হেলথ টেকনোলজি ইনস্টিটিউট নির্মাণের দাবি জানিয়েছি। তিনি বলেন, সরকারি ভূমির বদলে একটি সিন্ডিকেট নিজেদের পকেট ভারি করতে ব্যক্তিমালিকানাধীন নিম্নশ্রেণির ভূমিও চারগুন দামে কিনে নিচ্ছে।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদের মোবাইল ফোনে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com