স্টাফ রিপোর্টার ::
‘যৌন নিপীড়ন ও হয়রানি মুক্ত শিক্ষাঙ্গন চাই’ – এই প্রতিপাদ্যে সুনামগঞ্জে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। সমাবেশ থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র রায়হান সিদ্দিকী আম্মান ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম কর্তৃক আইন বিভাগের ছাত্রী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার প্ররোচনার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ এবং জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের আলফাত উদ্দিন স্কয়ারে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা মহিলা পরিষদের সভাপতি গৌরী ভট্টাচার্য্য।
জেলা মহিলা পরিষদের আন্দোলন সম্পাদক অমিতা রায়ের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা মহিলা পরিষদের সহ-সভাপতি সঞ্চিতা চৌধুরী, সহ-সাধারণ সম্পাদক সবিতা বীর, উদীচীর সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সাংবাদিক আসাদ মণি, মহিলা পরিষদের পাঠচক্রের তরুণী সদস্য তৃণা দে, তানজিদা পপি, অনন্যা তালুকদার, অর্পিতা তালুকদার, লক্ষ্মী দাশ প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ হিসেবে পরিচিত বিশ্ববিদ্যালয়। আর সেখানেই নারীদের নির্যাতন করা হচ্ছে। বিভিন্ন রকমের হেনস্তা করা হচ্ছে। কাদের আমরা বিশ্বাস করব? মেধাবী ছাত্রী অভিশ্রুতি তার উপর করা শিক্ষার্থী আম্মানের করা হেনস্তার নালিশ বিশ^বিদ্যালয়েরই প্রক্টরকে জানাল। কিন্তু সেই প্রক্টর দ্বীন ইসলাম সে নিজেও একইভাবে অভিশ্রুতিকে হেনস্তা-হয়রানি করেছে। বক্তারা বলেন, মেয়েটি বাঁচতে চেয়েছিল কিন্তু এরা ওকে বাঁচতে দেয়নি। আমরা এই দুই অপরাধীর শাস্তি চাই। অভিশ্রুতির অবশ্যই ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার আছে। আমরা মেধাবীদের এভাবে হারাতে আমরা চাই না, তারা দেশের সম্পদ।
বক্তারা আরও বলেন, আমাদের প্রতিবাদী হয়ে উঠতে হবে, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। নারীরা এখনও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে এগুলোকে প্রতিহত করতে হবে। এছাড়া অভিশ্রুতি যখন তার মাকে বলেছিলো ঘটনাটি এবং থানায় মামলা করার জন্য বলেছিলো তখন তা মা এটি সমাধান হয়ে যাবে বলেছিলেন। কিন্তু এর সমাধানা না হওয়ায় আজকে ওকে আত্মহত্যার মতো ভয়ঙ্কর রাস্তা বেছে নিতে নিয়েছে। এসবের জন্য আমাদের অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। অন্যায় হলে তার প্রতিবাদ করতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এসবের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।