হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজে ধীরগতিতে উদ্বিগ্ন কৃষকদের প্রতি সংহতি জানিয়ে সংবাদসম্মেলন করা হয়েছে হাওর ও কৃষকের সংগঠন ‘হাওর বাঁচাও আন্দোলন’-এর পক্ষ থেকে। গত সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪) দুপুরে শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে সংবাদসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বাঁধ নির্মাণকাজের সার্বিক অগ্রগতি তুলে ধরে বোরো ফসলের সুরক্ষা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংগঠনের প্রতিনিধিরা এবং সঙ্গত কারণেইÑ অভিজ্ঞমহলের মতে ইতোমধ্যে যেহেতু যথেষ্ট দেরি হয়ে গেছেÑ নির্ধারিত ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাঁধের কাজ বাস্তবায়ন করা না হলে মাঠপর্যায়ে কৃষকদের নিয়ে আন্দোলনের ডাক দেয়ার কর্মসূচি ব্যক্ত করেছেন সংগঠনের নেতারা।
বাঁধ নির্মাণের শুরু থেকে নির্মাণকাজে করিবকর্মা মার্কা নীতির বিরুদ্ধেÑ প্রতি বছরের মতো এবারও Ñ চেঁচামেচি কম হচ্ছে না, বরং বলা যায় বেশি বেশিই হচ্ছে। কিন্তু কে শোনে কার কথা। অবস্থাটা প্রকৃতপ্রস্তাবে পুরুইতে মন্ত্র পড়ে পাঠা তো শোনে না। এমন পরিস্থিতিতে মনে হচ্ছে, হাওররক্ষা বাঁধনির্মাণ নিয়ে বিষয়টা অনেকটা প্রাচীনকালের ‘চাপান-উতোর’ কা-মতো বিষয়ে পর্যবসিত হয়েছে। এক দল ‘এই’ করবে অন্য দল ‘সেই’ করবে। ‘এই’ এবং ‘সেই’য়ের চাপান-উতোর খেলার প্রলম্বিত ফাঁকেÑ মনে হচ্ছেÑ ‘যাহা হইবার হইয়া যাইবে, করিবার কীছুই থাকিবে না, সময় গেলে ভাবিয়া কীছু হইবে না।’
তারপরেও কথায় বলে ‘নাই মামু থেকে কানা মামু ভালা’। সত্যিকার অর্থে আপাতত আমাদের তো প্রশাসন ছাড়া বিপদে-আপদে ভরসা করার কোথাও কেউ নেই। আমরা আমাদের জেলা প্রশাসনের প্রতি ভরসা রাখছি। জেলা প্রশাসন তৎপর হলে হাওররক্ষা বাঁধনির্মাণের কাজ সময়মতো ও ঠিকঠাকভাবে হয়, অতীতে তার প্রমাণসহ উদাহরণ আছে। জেলা প্রশাসক সাবিরুল ইসলামের কার্যকালে হাওররক্ষা বাঁধনির্মাণের কাজÑ বলতে গেলে প্রায় সম্পূর্ণইÑ সম্ভব হয়েছিল। সেবার আমাদের জেলা প্রশাসন করিবকর্মার অপবাদ উতরে করিতকর্মা পদকের গৌরবোজ্জ্বল পালক গুঁজে নিয়েছিল তার মাথার টুপিতে। এবং অর্থাৎ শেষ কথা, ‘কীছু হইবার পূর্বে কীছু করিতে হইবে’। এর কোনও বিকল্প নেই।