1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ০৪:১৯ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602
সংবাদ শিরোনাম
এক ওয়ার্ডের প্রার্থী পেয়েছেন আরেক ওয়ার্ডে চাকরি জন্মহার কমে যাওয়াকে ‘জাতীয় জরুরি অবস্থা’ বলছে দক্ষিণ কোরিয়া বিসিএসে পিছিয়ে নারীরা, ১০০ ক্যাডারে ৭৫ জনই পুরুষ দেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ই-সাইন সার্টিফিকেট চালু করল শাবিপ্রবি ঢাবিতে মাস্টার্সে ভর্তিতেও পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা বিশ্বম্ভরপুরে আ.লীগ সমর্থিত প্রার্থীকে নির্বাচনী অফিস দিলেন বিএনপি নেতা! মধ্যনগরে পলাতক আসামি গ্রেফতার সরকারি হাসপাতালে অবৈধ ক্যানটিন ও ওষুধের দোকান থাকবে না, চালু হবে মডেল ফার্মেসি সাংবাদিক শেরে আলমের পিতৃবিয়োগ তাহিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে ৬ দোকান পুড়ে ২৫ লাখ টাকার ক্ষতি : আগুন দেখতে গিয়ে নিহত ১

বিএনপি’র কর্মীরা এখন ঢাকায় রিকশা চালায় : ফখরুল

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২১ জুন, ২০১৮

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
বিএনপি নেতাকর্মীদের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরতে গিয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৬ জুনের পর সাংবাদিক ভাইয়েরা যেমন ফল বিক্রি করেছেন, আজ তেমনি আমাদের রাজনৈতিক কর্মীরা ঢাকায় রিকশা চালাচ্ছেন।
তিনি বলেন, তারা হকার হয়েছেন, তারা কোনো বাড়ির নাইটগার্ডের কাজ করেন। কেউ এলাকায় থাকতে পারছেন না, সবাই চলে এসেছেন যে যার মতো করে। এই ঢাকা শহরের এক পাড়ার লোক সে পাড়ায় থাকতে পারছেন না, অন্য পাড়ায় চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
বৃহ¯পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রতিদিনই আমরা কথা বলছি, কথা শুনছি, অনেক কথা বলছি। এখন এই কথাবার্তা খুব বেশি আমার নিজেরই শুনতে ইচ্ছে করে না, বলতেও ইচ্ছে করে না। এজন্য যে আমরা ধীরে ধীরে একটা অন্ধকার গহ্বরের দিকে প্রবেশ করেছি, যে গহ্বরের শেষ দিকে আলোর রেখা দেখা যাচ্ছে না। আমার মনে পড়ে এই প্রেসক্লাবেই ২০১০ সালে মাহমুদুর রহমান সাহেব (আমার দেশ পত্রিকার স¤পাদক) গ্রেফতার হওয়ার পরে পাশেই একটি আলোচনা সভায় আমি জোরের সঙ্গে বলেছিলাম যে, আমরা একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রবর্তনের লক্ষণগুলো দেখতে পাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমাদের সাংবাদিক ভাইয়েরা অনেকে মারা গেছেন, নিহত হয়েছেন, অনেকে কারাগারে গেছেন আর আমাদের রাজনৈতিক কর্মীরা সারাদেশে প্রায় ১৮ লাখ আসামি। ১৯৭৫ সালের ১৬ জুনের পরে যেমন সাংবাদিক ভাইয়েরা অনেকে ফল বিক্রি করেছেন, বায়তুল মোকাররমের সামনে কাগজ বিক্রি করেছেন, আজ আমাদের রাজনৈতিক কর্মীরা রিকশা চালান এই ঢাকায়, তারা হকার হয়েছেন, তারা কোনো বাড়ির নাইটগার্ডের কাজ করছেন।
নিজের পাশের চেয়ারে বসা মাহমুদুর রহমানের দিকে তাকিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, মাহমুদ ভাইয়ের সঙ্গে বসে অনেক কথা হচ্ছিল, তিনি মাঝে মাঝে ফ্রাস্টেশনে ভোগেন, আমিও ভুগি। আমরা সবাই কিন্তু কমবেশি ভুগি, জেলে একসাথে ছিলাম তো, বহু বিষয়ে একসাথে কথা বলেছি, শেয়ার করেছি। কয়েকদিন আগে একটা সোশ্যাল মিডিয়ায় পাকিস্তানি এক মেয়ের জীবনের কথা শুনছিলাম। মেয়েটা পঙ্গু হয়ে গেছে একটা কার অ্যাক্সিডেন্টে। তার বিয়ে হয়েছিল মাত্র কয়েক মাস আগে। কার অ্যাক্সিডেন্টে তার স্বামী বেঁচে যায়, কিন্তু সে পঙ্গু হয়ে যায়। পঙ্গু হওয়ার পরে, সে কীভাবে সংগ্রাম করে, লড়াই করে টিকে আছে এবং সে আজকে পৃথিবীতে মোটামুটি লড়াকু মহিলা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। সেটা দেখার পর থেকে আমার মনে হয়েছে, না হতাশাই শেষ কথা নয়। মানুষ অবশ্যই লড়াই করবে, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বাঁচতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের দলের অনেকে এসে বলে, স্যার কী হবে? আমি বলি, হতাশাই শেষ কথা হতে পারে না, লড়াই করো, লড়াই করতে করতে আমরা একটা জায়গায় গিয়ে পৌঁছাব-ই। আমরা তো এই বংলাদেশেই দেখেছি, নয় বছর, দশ বছর, বাংলাদেশেই তো একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশাল দেখেছি, কিন্তু এই বাংলাদেশের মানুষ কিন্তু জেগে উঠেছে। এই বাংলাদেশের মানুষই কিন্তু ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ধ্বংসস্তূপ থেকে ফিনিক্স পাখির মতো উড়ে গেছে। আমাদের সেইভাবে এগোতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা রাজনীতিক দল হিসেবে, একটা মধ্যপন্থী দল হিসেবে উদার গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে সব সময় গণতন্ত্রের রাস্তাটা খুঁজি। একটা পরিসর খুঁজি, ¯েপস খুঁজি। ডেমোক্রেসির একটা ¯েপস থাকলে আমরা একটু কমফোরটেবল ফিল করি; আমি একটা বক্তৃতা করব, আমি মাঠের মধ্যে একটা জনসভা করব, আমি রাস্তায় মিছিল করব, আমার বক্তব্যগুলো জনগণের কাছে তুলে ধরব। জনগণ একসময় আমাদের সঙ্গে আসবে। এটাই আমরা অতীতে দেখেছি। এখনকার পরিস্থিতি একটু ভিন্ন। একটা ভীতি, ত্রাসের ফোবিয়া ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে। গত কয়েক বছরে তাদের নিপীড়ন, নির্যাতন, হত্যা, শিশুকে আটকে রেখে ব্ল্যাকমেইল-কী না হয়েছে!
বিএনপি মহাসচিব দাবি করেন, স্বাধীন বাংলাদেশের পর সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্রের জন্য যদি কাউকে সবচেয়ে বেশি কৃতিত্ব দেয়া যায়, সেটা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে। দেখুন আপনারা, সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তার রাজনীতিতে আসা। সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এই বয়সেও তিনি কারাগারে। এই সরকার কী বলব, বলার ভাষাই নেই আমাদের। নির্লজ্জ! তাকে উপযুক্ত চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না। ভাবখানা এমন যদি এভাবেই শেষ হয়ে যায় তাহলে আপদ গেল। কারণ ক্ষমতায় আসার প্রধান বাধা হলো খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এখনও জনপ্রিয় নেত্রী, গণতন্ত্রের নেত্রী। তিনি যে বাঁশি বাজাবেন সেই বাঁশিতে হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ মানুষ রাজপথে নামবে। এটা আমরা বিশ্বাস করি এবং এটা ঘটবে, এজন্য তারা এভাবে তাকে আটকে রেখেছে।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, এখন আমাদের দায়িত্ব হলো সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করা, মানুষের মধ্যে সাহস জাগানো। আর তরুণদের কাছে আমি সব সময় যে কথাটা বলি, জেগে উঠতে হবে। পৃথিবীর যে কোনো দেশে, যে কোনো সমাজে তরুণরা ছাড়া সমাজকে জাগাতে পারবে না। তরুণদের সামনে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা ওয়ার্ল্ড কাপ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাব, ক্রিকেট নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাব, আমরা ভালো কনসার্ট নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাব কিন্তু দেশ যে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে তার দিকে তো ঘুরে তাকাতে হবে। তাদের ভূমিকা পালন করতে হবে।
জাতীয় ঐক্য প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, যারা বাংলাদেশের রাজনীতির প্রথম থেকেই অবদান রাখছেন তাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াও কারাগারে যাওয়ার আগে বলেছিলেন যে, জাতীয় ঐক্য চাই। আমি এটা বিশ্বাস করি এবং বেশি জোর দিতে চাই। বাংলাদেশের এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য একটা জাতীয় ঐক্য খুব দরকার। খুব বেশি পয়েন্ট নয়, কয়েকটা পয়েন্টেই আমরা সেই ঐক্য সৃষ্টি করতে পারি এবং গণতান্ত্রিক দল হিসেবে আমরা অবশ্যই নির্বাচন চাই।
তিনি বলেন, সেই নির্বাচনটা অবশ্যই হতে হবে নির্বাচনের মতো। আপনারা ক্ষমতায় থাকবেন, হেলিকপ্টার চড়ে ক্যা¤েপইন করবেন আর বিরোধী দলকে একটা কথাও বলতে দেবেন না, ধরে ধরে জেলে পুরবেন, সে নির্বাচন হবে না। নির্বাচনে সমান থাকতে হবে। সমান্তরাল মাঠ তৈরি করতে হবে। নির্বাচনকালীন সময়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি অনুযায়ী একটা নিরপেক্ষ সরকার থাকতে হবে। পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দিতে হবে। সবার আগে গণতন্ত্রের প্রতীক, যিনি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন, লড়াই করেছেন, সেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই বিষয়গুলো নিয়ে বারবার বলেছি। ওনারা তো কথা বলবেন না, আসবেনও না। কালকে বলছেন, হয়ে যাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বিএনপি না আসলে আরও দল আসবে নির্বাচনে। হা-হা-হা, এটাই তো তারা চায়। তিনি না আসুক, অন্যান্য দল দু-একটা দল নিয়ে জোট ফর্ম করা হয়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আমি জানি না, আসলেই কী আওয়ামী লীগ সরকার চালাচ্ছে নাকি অন্য কেউ, নাকি অন্য কেউ! আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দিক থেকে এতটুকু দেউলিয়া হয়ে গেছে যে ন্যূনতম রাজনৈতিক যে অভিজ্ঞতা তারা সেটুকু কাজে লাগাতে পারবে না। জনগণের সঙ্গে প্রতারণ করছে, আরও করবে? এখনও সময় আছে কথা বলুন।
সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে শওকত মাহমুদ, মাহমুদুর রহমান, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, কাদের গণি চৌধুরী প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

সব জেলায় জয়িতা ভবন নির্মাণ করা হবে
সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, উদ্যোক্তা নারীদের জন্য দেশের সব জেলায় একটি করে জয়িতা ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়া জেলার পকুমারখালীর কুমারখালী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৫৫ বৎসর পূর্তি ও সাবেক শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন,নারীর উন্নয়নের লক্ষ্যে দেশের ২ কোটি নারী উদ্যোক্তাকে ফ্যাশন ডিজাইন, মোবাইল সার্ভিসিং, বিউটি ফিকেশনসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে।
তিনি বলেন, নারী শিক্ষার প্রসারের কারণে একজন শিক্ষিত নারী ঘরে বাইরে উন্নয়নে অবদান রাখছে। এরই ধারাবাহিকতায় দেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুর রউফ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ডা. নাসরিন আহমেদ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুলতানা আফরোজ, কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী রবিউল ইসলাম, জেলা প্রশাসক জহির রায়হান, কুষ্টিয়ার মেয়র শামসুজ্জামান তরুণ।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com