স্টাফ রিপোর্টার ::
চৈত্রের ঝড়ে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শনিবার সকালে প্রায় আধ ঘণ্টাব্যাপী ঝড়ে বিভিন্ন এলাকায় ঘরবাড়ি, গাছ-পালা, ধান ও সবজি গাছের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ওইদিন সকাল ৯টার দিকে এই ঝড় শুরু হয়।
সদর উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আব্দুল মোতালিব জানান, সকালের ঝড়ে ইউনিয়নের দুর্লভপুর গ্রামের প্রায় ৯টি ঘর ও গাছ-পালা, মঙ্গলকাটা বাজারে ও আশপাশের এলাকায় ৬টি ঘর ও গাছ-পালার ক্ষতিসহ বিদ্যালয়ের টিনের ছাউনি উড়ে যায়। এ ছাড়াও এলাকায় হাওরের জমিতে ধান গাছ ও সবজি গাছের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
সুরমা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য ফারুক মিয়া জানান, ষোলঘর গ্রামের ৩টি ঘর ও গাছপালা, পার্বতীপুর গ্রামের ২টি ঘর ও গাছপালা, বেরীগাঁও গ্রামের পাশে বিদ্যুৎ খুঁটি ও হালুয়ারঘাট বাজারে দোকানপাটের বেশ ক্ষতি হয়েছে।
কুরবাননগর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য আবু তাহের জানান, ঝড়ে ধারারগাঁও ও গোদারগাঁও গ্রামের ৩টি ঘর, খাইমতর গ্রামে ২টি ঘর, ধারারগাঁও পয়েন্টে ৩টি ঘরসহ এলাকার অনেক গাছপালার ক্ষতি হয়েছে।
সুরমা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য ইদ্রিছ আলী জানান, মুসলিমপুর ও হুড়ারকান্দা গ্রামের ঘরবাড়ি ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এবং সৈয়দপুর গ্রামের ১৫টি ঘর ও অনেক গাছপালার ক্ষতি হয়েছে। বালিকান্দি গ্রামের অনেকের ঘরের চাল উড়িয়ে নিয়ে গেছে ঝড়।
শহরের লঞ্চঘাট এলাকার ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, সকালে হঠাৎ ঝড় এসে দোকানের চালের টিন ও সাইনবোর্ড উড়িয়ে নিয়ে যায়।
গৌরারং ইউনিয়নের শাহ নুর মিয়া জানান, ঝড়ে অল্প পরিমাণে ঘরবাড়ি ও গাছপালার ক্ষতি হয়েছে।
রঙ্গারচর ইউনিয়নের নৈগাং এলাকার বাসিন্দা শরীফ মিয়া জানান, প্রবল ঝড়ে শিংপুর গ্রামের প্রায় ১৫টি ঘর, নৈগাং গ্রামে ১০টি ঘর, বৃন্দাবননগর গ্রামে প্রায় ১৫টি ঘরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়াও অসংখ্য গাছপালার ক্ষতি হয়েছে এ এলাকায়।
সুরমা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছত্তার জানান, চৈত্রের ঝড়ে আমার ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ঘর-বাড়ি ও গাছপালার বেশ ক্ষতি হয়েছে। বেশি ক্ষতি হয়েছে সৈয়দপুর গ্রামে।
রঙ্গারচর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাই জানান, আমার ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে প্রবল ঝড়ে ঘর-বাড়ি ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে বেশি ক্ষতি হয়েছে নৈগাং, শিংপুর ও বৃন্দাবননগর গ্রামে।
এদিকে জগন্নাথপুর উপজেলায় চৈত্রের ঝড়ে অর্ধশতাধিক ঘড়বাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানাগেছে। শনিবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড়ে উপজেলার চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়নের বেতাউকা খাগাউড়া, সমধন, স্বজনশ্রী, ভরাউটগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে কাঁচাঘর বাড়ির ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
এদিকে বিশ্বম্ভরপুরে চৈত্রের ঝড়ে কাচা ঘরবাড়ি, গাছপালা ও সবজি ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে। শনিবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার উপর দিয়ে এ ঝড় বয়ে যায়।
ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলো হল সলুকাবাদ ইউপির মনিপুরী হাটি, ভাদেরটেক, মাঝেরটেক রামপুর, ধনপুর ইউপির তরঙ্গিয়া, ধনপুর ও চিনাকান্দি এলাকা পলাশ ইউপির রসুলপুর, মজুমদারী, ধরেরপাড়, প্যারীনগর, বাগগাঁও, ফতেপুর ইউপির সোনাপুর, বাদাঘাট দক্ষিণ ইউপির ব্রজনাথপুর গ্রামসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম।
ধনপুর ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, ঝড়ে রাস্তার পাশের অনেক গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবজি ফসল বিনষ্ট হয়েছে।
সলুকাবাদ ইউপি চেয়ারমান রওশন আলী বলেন, আমার ইউপি’র ৩/৪টি কাচা ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। গাছপালা নষ্ট হয়েছে।
পলাশ ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম মাস্টার জানান, আমার ইউপির কয়েকটি কাচাঘর পড়ে গেছে। গাছ-পালার ক্ষতি হয়েছে।