সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
বেকারদের অস্থায়ী কর্মসংস্থানের জন্য তাহিরপুরসহ দেশের আরও ১০ উপজেলায় ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। এজন্য ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি অষ্টম পর্ব সম্প্রসারণের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা বৈঠকে যোগ দেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, সুনামগঞ্জের তাহিরপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর, ফরিদপুরের সালথা, নেত্রকোণার কেন্দুয়া, পটুয়াখালী সদর, কিশোরগঞ্জের মিঠামইন, পাবনার বেড়া, কক্সবাজারের মহেশখালী, যশোরের বাঘারপাড়া ও মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রতিটি উপজেলায় ৫০০ জন করে মোট পাঁচ হাজার জনকে প্রশিক্ষণ দিয়ে সরকারি বিভিন্ন দফতরে অস্থায়ী চাকরিতে নিয়োগ দেয়া হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ২০১০ সালের ৬ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর কুড়িগ্রাম থেকে ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি উদ্বোধন করেছিলেন। এ কর্মসূচির উদ্দেশ্য হলো বেকার যুবক-যুবতীদের দৈনিক ১০০ টাকা ভাতা দিয়ে তিন মাসের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি। সফলভাবে প্রশিক্ষণ স¤পন্নকারীদের প্রতিদিন ২০০ টাকা ভাতা দিয়ে দুই বছরের জন্য অস্থায়ীভাবে বিভিন্ন সরকারি অফিসে নিয়োজিত করা হয়।
তিনি বলেন, প্রথম পর্যায়ে তিন জেলায় (কুড়িগ্রাম, বরগুনা ও গোপালগঞ্জ) এ কর্মসূচি ছিল। কর্মসূচিতে ১৮-৩৫ বছর বয়সীদের ন্যূনতম এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৫৬ হাজার ৮০১ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এরমধ্যে পুরষ ছিল ৩৩ হাজার ৬০৩ আর নারী ছিল ২২ হাজার ৫৫১ জন। তিনমাস প্রশিক্ষণ শেষে এরা সরকারি বিভিন্ন দফতরে অস্থায়ী কর্মসংস্থান হয়েছিল। তিন জেলায় মোট ৮৪৬ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছিল। এটা ছিল পাইলট প্রজেক্ট। ওটা সফল হওয়ায় মোট সাতটি পর্বে ৩৭ জেলার ১২৮টি উপজেলায় ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি সম্প্রসারণ করা হয়। সেখানে দুই লাখ ৩০ হাজার মানুষকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এরমধ্যে দুই লাখ ২৮ হাজার ১২৯ জনকে অস্থায়ী কর্মে নিয়োজিত করা হয়েছিল। ব্যয় হয়েছিল তিন হাজার ১৮০ কোটি টাকা, সেটা মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়েছে।
অষ্টম পর্বে ১০ উপজেলায় কর্মসূচি সম্প্রসারণ হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ জন্য ৪৪ কোটি ৩২ লাখ টাকা লাগবে। অর্থ বিভাগ ইতিমধ্যে অর্থ বরাদ্দও দিয়েছে। এতে ব্যাপক সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে ক্যাপাসিটি বিল্ডিং করানো সম্ভব হবে। বড় অংশকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয় ফিসারিজ ও লাইভস্টকে। এতে দক্ষতা বাড়ে, আবার সে যদি নিজে অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে মানুষকে সার্ভিস দেয়- দুদিক থেকেই অর্থনীতির উপর ইতিবাচক প্রভাব নিয়ে আসবে।
তাহিরপুরে ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি শুরুর প্রস্তাব অনুমোদন

Leave a Reply