1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ০৪:১৪ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘন করলেই মালিকদের জরিমানা : আইনমন্ত্রী

  • আপডেট সময় বুধবার, ১ মে, ২০২৪

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
মালিকপক্ষ শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘন করলেই সাজা হিসেবে জরিমানা পাঁচ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘন করলে তাদের সাজা বাড়ানোর বিষয়ে আইনে একটা ধারা আছে, সেখানে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ছিল। সেটা এখন ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে। হয়তোবা সেটা ২৫ হাজার টাকা করা হতে পারে।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইএলওয়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগেও শ্রম আইন নিয়ে আইএলওয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, আজকেও শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে বিদেশিদের সঙ্গে দর কষাকষি হচ্ছে এ বিষয়টিকে আপনারা কিভাবে দেখছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা কোন দর কষাকষির মধ্যে নেই। ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন (আইএলও) হচ্ছে সারা বিশ্বের একটি সংগঠন। এখানে সব সময় শ্রমিকদের অধিকার যাতে রক্ষা হয়, তা নিয়ে আলোচনা হয়। সে বিষয়ে তাদের বক্তব্য সব সময় তাদের থাকে। তাদের সঙ্গে আমরা আজকে বসেছিলাম।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন আমরা এখন শ্রম আইন সংশোধন করছি। এটা সংশোধিত হয়েছিল গত সংসদে। এরপর রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়েছে। সেখানে পৌঁছানোর পরে দেখা যায় কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি ছিল, যে জন্য এটা আবার ফেরত আনা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, শ্রম আইন যাখন প্রণয়ন করা হয়, তখন বিশ্বের বেশ প্রেক্টিসগুলো আমরা অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করেছি। সেখানে আইএলওয়ের একটি অংশগ্রহণ থাকে। আপনারা এও জানেন যে, আইএলওয়ের যে গভর্নিংবডিতে বাংলাদেশের শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কিছু দেশ নালিশ করা হয়েছিল ২০১৯ সালে। তারপর আমরা বহুবার আইএলওয়ের গভর্নিংবডির মিটিংয়ে বলেছি যে, আমাদের শ্রমিকদের শুধু অধিকার রক্ষাই হয়নি। শ্রমিকদের অধিকার আরও সুদৃঢ় হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের বিরুদ্ধে যে অহেতুক একটা নালিশ করা হয়েছে সেটা শেষ হওয়া উচিত। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ও আমাদের শ্রম আইন নিয়ে কথা বলার জন্য তাদের সাথে বসেছি।
তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত শ্রম আইনটাকে সঠিকভাবে স¤পূর্ণভাবে সংশোধন না করছি ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা স্টেকহোল্ডার এবং আন্তর্জাতিক যেসব সংস্থা আছে যারা শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কথা বলে তাদের কথা শোনাব। তার কারণ হচ্ছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ অনুযায়ী, তার নির্দেশনা অনুযায়ী যে শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা হয়। তার সাথে নতুন যারা পরামর্শ দিচ্ছে তার কোনো মৌলিক পার্থক্য আছে কি না। আমরা কিন্তু কোনো মৌলিক পার্থক্য খোঁজে পাইনি।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, শ্রমিকদের অধিকার যাতে রক্ষা হয় সেজন্য আমরা সব সময় চেষ্টা করবো। শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা, সংরক্ষণসহ যা কিছু করার জন্য যার যার কথা শোনা দরকার আমরা শোনাবো। সে কারণেই আমরা আলোচনায় বসেছি। আমরা তাদের পরামর্শ শুনেছি। আজকের মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামী ৭ মে আইএলওয়ের যে কিছু পরামর্শ আছে সেটা তারা শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যে টেকনিক্যাল কমিটি আছে সেখানে তারা উপস্থাপন করবেন। ১২ মে সেটা স¤পন্ন করার জন্য একটি সভা ডাকবো এবং সেখানে আমরা শ্রম আইন সংশোধনের বিষয়ে আইএলও এর যে বক্তব্য বিষয়ে চূড়ান্ত বক্তব্য রাখবো।
আইএলওয়ের কি পরামর্শ ছিল, জানতে চাইলে তিনি বলেন, সুনির্দিষ্টভাবে তারা যে পরামর্শ দিয়েছেন সেগুলোর সংশোধনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, থ্রেসোল কমিয়ে আনা, আগে ৩০ হাজারের অধিক শ্রম আছে যেসব কারখানায় সেখানে শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন বা সংগঠন করতে হলে ২০ শতাংশ সমর্থনের প্রয়োজন হতো। এখন সেটা কমিয়ে সব কারখানার জন্য ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। আমরা তাদের সেই স্থাবর মেনে নিয়েছি। এছাড়া আন্তর্জাতিক মানে সংঘ কিছু সার্বিক পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে সেটা করা হবে।
আইএলও তো ১০ শতাংশ থ্রেসোলের কথা বলেছিল, সেটার কি হলো, এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, সেটা নিয়ে আজকে কোনো কথা হয়নি। তারা ১৫ শতাংশেই রাজি হয়েছেন। কারণ আমি অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে বলেছি, এখন ১৫ শতাংশ হবে। কিন্তু আমাদের উদ্দেশ্য ১০ শতাংশে যাওয়া সেটা আমরা ধীরে ধীরে যাবো।
আইএলও মালিকদের সাজার জরিমানা আরও বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন, সেই বিষয়ে জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, মালিকদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছে, তাদের বিচার হচ্ছে, এখানে মালিকদের সাজা বাড়ানোর কথা ঠিক না। বিষয়টা হচ্ছে, শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘন করলে তাদের সাজা বাড়ানোর বিষয়ে আইনে একটা ধারা আছে সেখানে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ছিল। সেটা এখন ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে। হয়তোবা সেটা ২৫ হাজার টাকা করা হতে পারে, তবে সেটা সব স্টেক হোল্ডারের সঙ্গে আলাপ করে, মালিক, শ্রমিক এবং অন্যান্য স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আলাপ করেই করা হবে।

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com