স্টাফ রিপোর্টার ::
‘স্মার্ট লিগ্যাল এইড, স্মার্ট দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে রবিবার সকাল ৯টায় জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণ থেকে একটি র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আদালত প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। পরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ও জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান মো. হেমায়েত উদ্দিন।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক রুকনুজ্জামান, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রোকন উদ্দিন কবির, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ঝলক রায়, পিপি খায়রুল কবির রুমেন, জিপি আক্তারুজ্জামান আহমদ, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. নজরুল ইসলাম, সাধারণ স¤পাদক অ্যাড. শেরেনূর আলী। সভায় লিগ্যাল এইড স¤পর্কিত সংক্ষিপ্ত ধারণাপত্র পাঠ করেন জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার সুলেখা দে।
সভায় বক্তারা লিগ্যাল এইডের বিনামূল্যে আইনি সহায়তা দেয়ার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে প্রচারের আহ্বান জানান।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সেবা গ্রহিতা পিংকি আক্তার ও আব্দুল মতলিব। আলোচনা সভা শেষে লিগ্যাল এইড কার্যক্রম পরিচালনায় বিশেষ অবদানের জন্য প্যানেল আইনজীবী মো. আবু হানিফ ও আইনজীবী নাজনীন বেগমকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ও জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান মো. হেমায়েত উদ্দিন বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল দেশের সকল জনগণ যাতে দ্রুত ন্যায়বিচার পায়। সেই চিন্তাধারার আলোকে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় লিগ্যাল এইড নামের সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। এই লিগ্যাল এইড শুরু থেকে একজন গরীব দুখি মানুষের ন্যায় বিচার পেতে সরকারিভাবে সকল খরচ বহন করে আসছে। তিনি বলেন, আজ বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে লিগ্যাল এইড কার্যক্রম নিয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এই দিবস উদযাপিত হয়েছে। এই সেবা যাতে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের স্ব স্ব অবস্থান থেকে দ্রুত ন্যায়বিচার পেতে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে গেলে অবশ্যই লিগ্যাল এইড কার্যক্রমে আরও বেশি বেশি সফলতা আসবে।
চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রোকন উদ্দিন কবির বলেন, লিগ্যাল এইড হলো দ্রুত ন্যায় বিচার থেকে যেন বঞ্চিত না হয়। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মানুষ দ্রুত ন্যায় বিচার পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তবে এই প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক প্রচারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, সরকার এসব কার্যক্রমে দুর্বার গতিতে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে। এ জন্য সকলে সহযোগিতা করতে হবে সকলে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, লিগ্যাল এইড প্রতিষ্ঠান বিচার কার্য পরিচালনায় সরকার সকল খরচ বহন করে আসছে। হট লাইন ১৬৪৩০ নম্বরে ফোন দিয়েও সেবা পাওয়া যায়। আমার পক্ষ থেকে যথাসাধ্য প্রচারণার ব্যবস্থা করে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, সরকার আশ্রয়হীন, ভূমিহীনদের ঘর নির্মাণের ব্যবস্থা করেছেন। আগামী ১ মাসের মধ্যে সুনামগঞ্জ জেলা ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা করবে সরকার। এতে আমাদের মৌলিক অধিকার পূরণ হবে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ বলেন, দরিদ্র জনগোষ্ঠী ন্যায় বিচার পেতে সকলের অবস্থান থেকে সহযোগিতা করলে দ্রুত ন্যায় বিচার পাবে দুখি মানুষজন।