অঞ্জন পুরকায়স্থ ::
জেলার অবহেলিত জনপদ জামালগঞ্জ উপজেলা। উপজেলার উপকন্ঠে অবস্থিত তেলিয়া গ্রাম । প্রবাহমান সুরমা নদীর পশ্চিম তীরঘেষে এই গ্রামটিতে রয়েছে সরকারী খাদ্য গোদাম, সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সহ রাজনৈতিক ,ব্যবসায়িক ও সমাজ সেবীদের বসতবাড়ী । পাশে রয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স। বিগত ২০ বছরের এই নদী ভাঙ্গন রোধ প্রকল্পে গত ২০১১-১২ অর্থ বছরে ২ দফায় ৪ কোটির ও বেশী অর্থ ব্যয়ে নদী শাসনের কাজ শুরু ও সম্পন্ন করে । ৪০০ মিটার নদী শাসনের সময়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ভবিষ্যতে ভাঙ্গনের বা গর্তের সৃষ্টি বা ব্লক ও জিওবি কার্পেট ধ্বসে বা খসে গেলে তাতে মেরামতের জন্য ৭ সহ¯্রাধিক ব্লক তৈরী করে গ্রামের বিভিন্ন স্থানে, খাদ্য গোদামে ও নদীর পূর্ব তীরে মজুদ রেখে যান। নদী শাসন কাজ সম্পন্নের পর থেকে বিভিন্ন স্থানে ব্লক ও কার্পেট ধ্বসে গিয়ে ভাঙ্গন সৃষ্টি হচ্ছে। সংরক্ষিত ব্লক গুলি পুনরায় গর্ত ও ধ্বসে পড়া স্থান গুলোতে পাতানো হলে নদীর ভাঙ্গনের রোধ হবে ও সরকারের ৪ কোটি টাকা নদী শাসনের প্রকল্প বাস্তবায়নে সফলতা আসবে। অন্যতায় ভেস্তে যাবে ৪ কোটি টাকার প্রকল্প। তেলিয়া বসবাস রত সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবু সালেহ, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মুক্তার হোসেন তালুকদার, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল রশিদ, ডেপুটি কমান্ডার শ্রীকান্ত তালুকদার, মুক্তিযোদ্ধা অনিল পুরকায়স্থ, জামালগঞ্জ মহিলা পরিষদের সভাপতি শেখ আয়শা বেগম, আব্দুল মতিন চৌধুরী ,আবুল আজাদ চৌধুরী বলেন, বিগত ২০ বছরে ৭৫ টি বসতবাড়ী, একটি মসজিদ সহ ১০০ টি গৃহ বিলীন হয়েছে নদী গর্ভে। বিগত ২০১১-১২ অর্থ বছরে ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে পাউবো নদী শাসন পদক্ষেপ নেয়ায় অনেক পরিবার বেঁচে গেলেও চৌধুরী বাড়ী সংলগ্ন স্থানে প্রকল্প গ্রহণ না করায় ভাঙ্গাঁন অব্যাহত রয়েছে । অন্যদিকে যে সকল স্থানে ব্লক দিয়ে নদী শাসন করা হয়েছিল সেখানের বিভিন্ন স্থানে ব্লক ধ্বসে গিয়ে গর্ত হয়েছে। পুনরায় মেরামত না করলে ভাঙ্গন আরও তীব্রতর হতে পারে । এখনই সময় সংরক্ষিত ব্লক গুলো ক্ষতস্থানে ফেলে মেরামত করা ।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এর জামালগঞ্জ প্রতিনিধি নিহার রঞ্জন দাস বলেন, আমি হাওর এলাকায় কাজ করি, তেলিয়া নদী ভাঙ্গন সৃষ্টি হচ্ছে, মেরামতের প্রয়োজন।
জেলা পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, এস ও নিহার বাবু কে পরিদর্শন করে অতিসত্বর ব্যবস্থা গ্রহনের প্রতিবেদন পাঠাতে বলবো।