স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের টিসিবি’র পণ্য পাচারকালে মালামালসহ অটোরিকশা আটক করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। শুক্রবার রাত অনুমান ৮টায় ইউনিয়নের মঙ্গলকাটা বাজারের ব্রীজের উপর এই মাল আটক করা হয়। পরে গরুরবাজার এলাকায় নিয়ে মালামাল সংরক্ষণ করা হয়। এ সময় একাধিক বাসিন্দারা স্থানীয় এমপি, ইউএনও, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও গণমাধ্যমকর্মীকে বিষয়টি অবগত করেন। আটককৃত টিসিবি’র পণ্য ১০০ কেজি চিনি ও ৫০ কেজি মুসুরী ডাল রয়েছে।
শনিবার সকালে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী মান্নানের নির্দেশে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এমদাদুল হক শরীফ ঘটনাস্থলে যান। পরে তিনি আটককৃত মালামাল চেয়ারম্যানের জিম্মায় রেখে আসেন। এই মাল পুনরায় বণ্টনের নির্দেশনা দেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আজিজ আহমদ বলেন, ফজলুল হক নোমানী সব সময় টিসিবির মাল অবৈধভাবে বিক্রি করে আসছেন। গত মাসেও টিসিবির মাল বিক্রি করেছেন তিনি। এসব কথা আমরা প্রায়ই শুনে আসছিলাম। এবার সরাসরি ধরা পড়েছে মাল।
ইউপি সদস্য আব্দুল মোতালেব বলেন, অবৈধভাবে টিসিবির মাল পাচার হওয়ায় আমাদের তালিকার লোকজন পায় না। এতে আমাদেরকে গালমন্দ করে। এবার সরাসরি ধরা পড়েছে।
ধলাইপাড় গ্রামের পারুল বেগম বলেন, আমার স্বামী নেই। আমার ২ ছেলে ১মেয়ের মধ্যে প্রতিবন্ধী ১ ছেলে। কিন্তু আমি অনেক চেষ্টা করেও টিসিবির পণ্য পাই না। এখন চুরি করে বেচাকেনা করেন সবাই।
টিসিবির পণ্য ক্রেতা বেরীগাঁওয়ের আব্দুল কাইয়ূমের মোবাইলে একাধিক বার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।
টিসিবির ডিলার ফজলুল হক নোমানী বলেন, স্থানীয় একটি চক্র আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। আমার তদারকি অফিসার সার্বক্ষণিক রয়েছেন।
সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও তদারকি কর্মকর্তা মোহাম্মদ এনামুল হক মোল্লা বলেন, টিসিবির আটককৃত মালামাল ইউপি চেয়ারম্যান রশিদ আহমদের কাছে বিতরণের জন্য দেয়া হয়েছে। গাড়ি ও চালককে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এমদাদুল হক শরীফ বলেন, অবৈধভাবে টিসিবি পণ্য পাচারের ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।