সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
বান্দরবানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) আগামীতে আরো বড় ধরনের হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে তাদের নির্মূলে সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকালে বান্দরবান জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
ব্যাংক ম্যানেজারের ল্যাপটপ ব্যবহার করে সন্ত্রাসীরা সাইবার হামলার চালাতে চেয়েছিল বলেও জানান খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, র্যাবের নিজস্ব কৌশলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় রুমা থেকে অক্ষত অবস্থায় ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধার করা হয়েছে। ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের পর পাহাড় ও ঝিরিপথে দীর্ঘক্ষণ হেঁটে তাদের আস্তানায় নিয়ে যায় কেএনএফ সন্ত্রাসীরা। এরপর থেকে ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধারে বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতায় অভিযানে নামে র্যাব। একটানা ৩০ ঘণ্টা অভিযানের পর কেএনএফ সন্ত্রাসীরা র্যাবের পাতা ফাঁদে পা দেয় এবং অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারকে মোটরসাইকেলে করে রুমার একটি জায়গায় রেখে চলে যায়। সেখান থেকে র্যাব তাকে উদ্ধারের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
র্যাবের এ মুখপাত্র বলেন, ব্যাংক ম্যানেজারকে জীবিত উদ্ধারের কারণে আমরা হার্ড লাইনে যাইনি। তবে আজকে থেকে আমরা বিভিন্ন বাহিনীর সহযোগিতায় সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করব। কেএনএফ সন্ত্রাসীরা নিজেদের অবস্থান জানান দিতে নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে হয়তো তারা আরো বড় ধরনের হামলা করতে পারে। সন্ত্রাসীদের ছাড় দেয়া হবে না, সিসিটিভি ফুটেজ শনাক্ত করে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। অপহরণের পর সন্ত্রাসীরা ম্যানেজারকে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ দেয় এবং কোনো প্রশাসনিক বা আইনি সহায়তা যাতে না নেয় সেজন্য সর্তক করে।
র্যাব কর্মকর্তা জানান, পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ হওয়ায় ওই সূত্র ধরে র্যাব তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তার অবস্থান শনাক্ত করে এবং র্যাবের মধ্যস্থতায় সোনালী ব্যাংকের বান্দরবানের রুমা শাখার ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে বান্দরবানের রুমা বাজার ও বেথেল পাড়া মধ্যবর্তী একটি স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়।
এর আগে গত ২ এপ্রিল রাত সাড়ে ৮টার দিকে শতাধিক অস্ত্রধারী ব্যক্তি বান্দরবানের রুমা সোনালী ব্যাংকের উত্তর দিক (বেথেল পাড়া) থেকে অতর্কিত হামলা চালায়। তারা অস্ত্রের মুখে পুলিশ, আনসার ও অন্যদের জিম্মি করে। পরে সোনালী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুটের চেষ্টা চালায়। কিন্তু সেই চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।