হোসাইন আহমদ ::
শান্তিগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাঁক ইউনিয়নের থলেরবন্দ গ্রামে ঘোড়ার লাথি মারাকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনা দু’পক্ষের আটজন আহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন শিমুলবাক ইউনিয়নের থলেরবন্দ গ্রামের মৃত নৈমুল্লাহ’র পুত্র আব্দুল আওয়াল (৫৫) ও একই গ্রামের মৃত রহিম আলীর পুত্র নুর মোহাম্মদ (২২)।
পুলিশ জানায়, সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে থলেরবন্দ গ্রামে আশিক মিয়ার বাড়ির সামনে শের আলীর একটি পালিত ঘোড়া বেঁধে রাখলে উক্ত ঘোড়ার লাথিতে আশিক মিয়ার ছেলে ফরিদ আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এসময় আশিক আলীর ভাই সাহার আলী, শের আলীকে আশিক আলীর বাড়ির সামনে ঘোড়া বেঁধে রাখার কারণ জিজ্ঞেস করেন। এ সময় শের আলীর লোকজন সাহার আলীকে মারধর করে। এর জের ধরে উভয়পক্ষ তারাবির নামাজের পর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে এবং একপক্ষ আরেক পক্ষের বাড়িঘর ভাংচুর করে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৮জন লোক আহত হয়। এর মধ্যে গুরুতর আহত হন আব্দুল আওয়াল (৫৫) ও নুর মোহাম্মদ (২২)। স্থানীয়রা আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আহত নুর মোহাম্মদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। তাকে সিলেট নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মারা যান। অপর আহত আব্দুল আওয়াল সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে আশিক আলী পক্ষের ২জন এবং শের আলী পক্ষের ৪ জনকে আটক করে পুলিশ।
শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজি মুক্তাদির হোসেন বলেন, ঘোড়ার লাথি মারাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে দু’জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ ৬ জনকে আটক করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।