1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ০২:২৩ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

বিশ্বম্ভরপুরে অপ্রয়োজনীয় দুই প্রকল্পে বরাদ্দ প্রায় ৪০ লাখ টাকা!

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০২০

হাসান বশির ::
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের চলতি নদী তীরবর্তী আদাং এলাকায় ফসলরক্ষা বাঁধের নামে দুইটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে প্রায় ৪০ লাখ টাকা। এই প্রকল্প দুটি অপ্রয়োজনীয় বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তাদের অভিযোগ, ফসল রক্ষা বাঁধের নামে অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ করে নামমাত্র কাজ দেখিয়ে সরকারের টাকা লোপাটের পাঁয়তারা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে বিভিন্ন দফতরে সলুকাবাদ ইউনিয়নের আদাং গ্রামের বাসিন্দারা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
সলুকাবাদ ইউনিয়নের ধোপাজান-চলতি নদীর তীরবর্তী সীমান্ত গ্রাম ডলুরা, আদাং, কালিপুর। উত্তর দিক থেকে দাঁড়িয়ে দেখা যাবে নদীর ডান তীরে আমন জমি ও রবি ফসলের জমি। যেখানে বর্ষায় আমন ধান, ইক্ষু এবং শুষ্ক মৌসুমে রবি ফসল চাষ করে থাকেন স্থানীয় চাষীরা। চলতি ২০১৯-১৯২০ অর্থ বছরে অনুন্নয়ন রাজস্ব খাতের (কাবিটা) আওতায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো মেরামত-সংস্কার কার্যক্রমের কাবিটা নীতিমালা অনুযায়ী ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণে চলতি নদীর ডান তীরে ২টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি)-এর মাধ্যমে প্রায় ৪০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে একটি প্রকল্পে। অপরটি প্রকল্পে স্থানীয়দের বাধায় কাজ শুরু করতে পারছেনা সংশ্লিষ্ট পিআইসি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, অতীতে এখানে ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ হলে প্রকৃতপক্ষে তা কোনো কাজে আসেনি। এগুলোর কোনো প্রয়োজনই নেই। যদি কোন ঘটনাচক্রে পানি আসে তা হলে আদাং স্কুল থেকে নদী পর্যন্ত বিকল্প একটি গ্রামীণ সড়কই ফসলরক্ষায় যথেষ্ট।
এ বিষয়ে সলুকাবাদ ইউনিয়ন আ.লীগ সম্পাদক এখলাছুর রহমান বলেন, অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প দু’টি গ্রহণ করে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারের বিপুল পরিমাণ টাকা অপচয় হওয়ার পাশাপাশি বরাদ্দ লোপাট হবে। আমরা এলাকাবাসী এসব অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বাতিলের দাবি জানাই।
আদাং গ্রামের আতাউর মাস্টার বলেন, কি কারণে বাঁধ করা হচ্ছে আমাদের জানা নেই। এখানে বোরো ধান নেই। আমরা সারা জীবন আমন ধান ও শাক-সবজি চাষ করেছি। কোনো কারণ ছাড়াই প্রকল্প গ্রহণ করে বাঁধের নামে বরাদ্দ পানিতে ফেলা হচ্ছে। এইভাবে সরকারের লাখ লাখ টাকা অপচয় করা হচ্ছে।
এদিকে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় বিগত বছরের চেয়ে অধিক প্রকল্প গ্রহণ ও বরাদ্দ বেশি দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হাওর বাঁচাও আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় গত বছর ১৬টি পিআইসি’র অনুমোদন দেয়া হলেও চলতি বছরে ২৬টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়ার যৌক্তিকতা খুঁজে পাননি তারা। বরং এর মাধ্যমে সরকারের কোটি কোটি টাকা অপচয় করা হবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায় বলেন, অতীতে যেখানে কোনো দিনও বেড়িবাঁধের কাজ হয়নি সেখানে অহেতুক প্রকল্প গ্রহণ করে সরকারের কোটি কোটি টাকা অপচয় করছে কর্তৃপক্ষ। এসব অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বাতিলের দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে পাউবো’র শাখা কর্মকর্তা মনসুর রহমান জানান, ১২ হাজার মিটারের স্থলে ১১শ মিটার কাজ হচ্ছে। তুলনায় অনেক কাজ কমেছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সবিবুর রহমান বলেন, উপজেলা কমিটির সঙ্গে আলাপ করে প্রকল্পগুলোর খোঁজ নেয়া হচ্ছে। পরে এ বিষয়ে কথা বলা যাবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com