গত ২৪ জুন দৈনিক সুনামকণ্ঠের একটি সংবাদ শিরোনাম ছিল “সুনামগঞ্জে রেল চালু হবে।” এই সংবাদ সুনামগঞ্জবাসীকে স্বভাবতই আপ্লুত ও উজ্জীবিত করেছে। কারণ রেলে চড়ে ঢাকা যাওয়ার স্বপ্নাবেগে সুনামগঞ্জের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা বেশ পুরনো, কম করে কয়েক দশক আগে।
একটি ঘটনা সুনামগঞ্জকে শোকাহত করে। তবু বলি। বেশ ক’বছর আগে সুনামগঞ্জের আরেক কৃতীসন্তান, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, মন্ত্রী হওয়ার পর বড় মুখ করে বলেছিলেন, সুনামগঞ্জে রেল লাইন হবে। তাঁরও, সুনামগঞ্জ পর্যন্ত রেল লাইন করে যাবেন, এই স্বপ্ন ছিল। তিনি স্বপ্ন দেখতেন, ছাতক থেকে রেল লাইনটিকে সুনামগঞ্জ পর্যন্ত প্রসারিত করে দেবেন। কিন্তু সে-স্বপ্ন পূরণের আগেই তিনি প্রয়াত হয়েছেন।
এবার সুনামগঞ্জের কৃতীসন্তান অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, “সুনামগঞ্জের সীমান্ত হয়ে তাহিরপুর-ধর্মপশা হয়ে মোহনগঞ্জ পর্যন্ত রেল লাইন চালু করবো।” কারও বিশেষ কীছু বলার নেই। না থাকারই কথা। সুনামগঞ্জের স্বপ্ন হলো, ঢাকার সঙ্গে রেল যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা। সেটা পূর্বদিক থেকে কিংবা পশ্চিমদিক থেকে, যে-দিক থেকেই হোক, আসল কথা ঢাকা যেতে চাই রেলে চড়ে। অর্থ প্রতিমন্ত্রীর এই ঘোষণা অচিরেই ফলপ্রসূ হোক এবং রেল লাইন প্রতিষ্ঠার জন্য তাঁর সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখুন এবং সফলতা লাভ করুন এই কামনা করি।
কিন্তু একটি বিষয় এখানে না বলে পারছি না। ভালো কাজে সব সময় অশুভর কেরদারিশমা শুরু হয়ে যায়, উন্নয়নের শত্রুরা সক্রিয় হয়ে উঠে, প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। সুনামকণ্ঠের আরেকটি সংবাদ বিবরণীতে বলা হয়েছে যে, সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কের কাজ শুরু হয়েও একটি মামলার করণে বন্ধ হয়ে গেছে। এই রকম উটকো কোনও প্রতিবন্ধকতা যেনো রেলের কাজ শুরু হওয়া, শুরু হওয়ার পর কিংবা তার আগেই আবির্ভূত না হয়। সরকারের পক্ষ থেকে এধরনের উন্নয়নমূলক কাজে যে-কোনও ধরনের প্রতিবন্ধকতার প্রতি শূন্যসহিষ্ণুতা প্রদর্শন করা একান্ত কর্তব্য।