ধর্মপাশা প্রতিনিধি ::
ধর্মপাশা উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের কাকিয়াম গ্রামের বাসিন্দা ও জামালগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ আবু তৌহিদ জুয়েল (৪০) হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত সকল আসামিকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত রোববার (১৭ জুন) বিকেলে উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের বাদশাগঞ্জ পশ্চিমবাজার সড়কে এলাকাবাসী ও সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার শতাধিক মানুষ অংশ নেন। এতে বক্তব্য দেন মধ্যনগর থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক কুতুব উদ্দিন তালুকদার, শিক্ষক আনোয়ার হোসেন, জাতীয় শ্রমিক লীগ ধর্মপাশা উপজেলা শাখার সভাপতি সাফায়েত হোসেন লিটন, উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আব্দুল বারেক ছোটন প্রমুখ।
নিহত আবু তৌহিদ জুয়েলের বড় ভাই মো. সুয়েবুর রহমান বলেন, আমার ছোট ভাইয়ের লাশের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে নয়ছয় করার জন্য সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের সহায়তায় প্রতিপক্ষের লোকজন অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। এছাড়া মামলার সব আসামিকে গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশের তেমন কোনো তৎপরতা নেই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে সুদৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।
ধর্মপাশা থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১ ডিসেম্বর সকালে উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের কাকিয়াম গ্রামের নিজ বাড়ির সীমানা নির্ধারণকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের লোকজনদের হামলায় প্রভাষক মোহাম্মদ আবু তৌাহিদ জুয়েল (৪০) নিহত হন। এ ঘটনায় ওইদিনই ১১জনকে আসামি করে ধর্মপাশা থানায় একটি হত্যা মামলা হয়। এর মধ্যে মাত্র তিনজন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ধর্মপাশা থানার ওসি (তদন্ত) মো. শফিকুজ্জামান বলেন, এই হত্যা মামলার ১১জন আসামির মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছে। তবে তাদেরকে গ্রেফতারের সব রকম চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে।