সাজ্জাদ হোসেন শাহ্ ::
ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছিল হাওরাঞ্চল। হাওরবেষ্টিত ভাটির জনপদ ও পর্যটন এলাকা খ্যাত তাহিরপুরের নীল জলরাশির টাঙ্গুয়ার হাওর, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর বিক্রম শহীদ সিরাজ লেক (নীলাদ্রি লেক), রূপের নদী যাদুকাটা ও শিমুল বাগানের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে হাজারো পর্যটকের ঢল নামে।
রাজধানী ঢাকা, সিলেট, ময়নসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন অঞ্চল এমনকি দেশের বাইরে থেকে আগত পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছিল তাহিপুরের পর্যটন স্পটগুলো।
কথা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষক দেবপ্রসাদ দাঁ-এর সঙ্গে। তিনি সপরিবারে বেড়াতে এসেছেন টাঙ্গুয়ার হাওরে। তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে টাঙ্গুয়ার হাওরসহ এই হাওরাঞ্চলের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানের ছবি দেখে ঈদের ছুটিতে বাড়ি না গিয়ে এখানে বেড়াতে আসলাম। অনেক ভাল লেগেছে এবং উপভোগ করেছি মেঘ-পাহাড় আর হাওরের অপার সৌন্দর্য্য। তবে এখানে অবকাঠামোগত উন্নয়ন না থাকায় পর্যটকদের কিছুটা ভোগান্তি পোহাতে হয়। আশা করি সরকার এখানে পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটাবে।
নারায়ণগঞ্জ থেকে সপরিবারে আগত পর্যটক নীলিমা আক্তার বলেন, নীলাদ্রি লেক খুবই মনোমুগ্ধকর। কিন্তু অবকাঠামোগত উন্নয়ন না থাকায় কিছুটা কষ্ট হয়েছে।
রূপের নদী যাদুকাটা ও জয়নাল আবেদীন শিমুল বাগানে গিয়ে কথা হয় পর্যটক আপন, পাপড়ি হক ও পাপিয়া হোসেনের সঙ্গে। তারা বলেন, হাওরে ঘুরে বেশ ভালো লেগেছে। সুযোগ পেলে আবারো এখানে আসবো। হাওর এলাকা অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে লীলাভূমি। এই সৌন্দর্য্য টিকিয়ে রাখতে সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।