হাসান বশির ::
সুনামগঞ্জের ৩টি উপজেলায় সক্রিয় হচ্ছে গ্রাম আদালত। বাংলাদেশ সরকার, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং ইউএনডিপি-এর আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় প্রাথমিক পর্যায়ে বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর ও জগন্নাথপুর উপজেলায় এ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
জানাগেছে, এ কার্যক্রমের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের ছোট-খাটো বিরোধ ও বিবাদ নিষ্পত্তির বিচারিক সেবা প্রদানে সহযোগিতা করা, স্বল্প খরচে, স্বল্প সময়ে সুবিধা বঞ্চিত এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর বিচার ব্যবস্থায় প্রবেশাধিকার নিশ্চিতকরণে অবদান রাখা। এ কার্যক্রম বাস্তবায়নে নিয়োগ করা হয়েছে ২০টি ইউনিয়নের জন্য ২০ জন গ্রাম আদালত সহকারি, জেলা-উপজেলা পর্যায়ে জনবল নিয়োগ করা হয়েছে ৫জন।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা সমন্বয়কারী ফজলুল করিম জানান, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ধনপুর, পলাশ, বাদাঘাট দক্ষিণ ইউনিয়নে গ্রাম আদালতের বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় সপ্তাহে প্রতি মঙ্গলবার। ফতেপুর ইউনিয়নে প্রতি সপ্তাহে বুধবার এবং সলুকাবাদ ইউনিয়নে সোমবার।
একইভাবে জগন্নাথপুর ও তাহিরপুর উপজেলায় প্রতি সপ্তাহে একদিন গ্রাম আদালত কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
তাহিরপুর উপজেলা সমন্বয়ক মাহবুব আলম জানান, তাহিরপুর উপজেলায় ৭টি ইউনিয়নে এ কার্যক্রম পরিচালনা হচ্ছে।
জগন্নাথপুর উপজেলা সমন্বয়ক হারুনুর রশিদ জানান, জগন্নাথপুর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে প্রতি সপ্তাহে একদিন গ্রাম আদালত কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
জেলা সমন্বয়কারী রোকনুজ্জামান জানান, এ কার্যক্রমের আওতায় ইউপি চেয়ারম্যান, প্যানেল চেয়ারম্যান, ইউপি সচিব, গ্রাম আদালত সহকারীদের জ্ঞান ও দক্ষতা উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
ইউএনডিপি’র জেলা ফ্যাসিলিটেটর সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পের আওতায় এই তিন উপজেলায় কাজ চলছে। সরকার সকল উপজেলায় গ্রাম আদালত কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। ৩ উপজেলায় দ্বিতীয় পর্যায়ের এ প্রকল্পের কাজ শেষ হলে পরবর্তীতে নতুন উপজেলা সমূহে কার্যক্রম বাস্তবায়নে উদ্যোগ গ্রহণ করা হতে পারে।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব কামরুজজামান বলেন, ৩টি উপজেলায় ভালভাবেই প্রকল্পের আওতায় গ্রাম আদালত কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।