জেলার বিভিন্ন নৌ-পথে চলছে চাঁদাবাজি। চাঁদা আদায়ের পেশীশক্তি প্রয়োগের পাশাপাশি নিত্যনতুন কৌশল অবলম্বন করছে চাঁদাবাজরা। নৌপথে চাঁদাবাজি ঘিরে তৈরি হয়েছে শক্তিশালী সিন্ডিকেট।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার আবুয়া নদীতেও থামছে না চাঁদাবাজি। দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে চাঁদাবাজরা। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে নৌযানের মালিক, মাঝি, শ্রমিক এবং সংশ্লিষ্টদের উপর চলে অমানবিক অত্যাচার-নির্যাতন।
অভ্যন্তরীণ পণ্য পরিবহনে নৌপথের গুরুত্ব বিশাল। কিন্তু এই নৌপথকে ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিড়ম্বিত করে তুলেছে চাঁদাবাজরা। চাঁদাবাজদের পেছনে প্রভাবশালী মহলের হাত রয়েছে এটা বলা যায় নির্দ্বিধায়। এ কারণেই চাঁদাবাজরা নির্বিঘেœ চালিয়ে যাচ্ছে তাদের অপকর্ম। তাদের ব্যাপারে মুখ খুলতে সাহস পান না স্থানীয়রা।
চাঁদাবাজরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে-বেনামে চাঁদা আদায় করছে। এ অবস্থায় নৌযানের মালিক-শ্রমিকরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। প্রশাসনের কাছে আবেদন-নিবেদন করে কোনো সুরাহা হচ্ছে না। অন্যদিকে নৌপথের দুর্বৃত্তরা সংঘবদ্ধ ও বেপরোয়া হয়ে উঠছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ প্রয়োজন। নৌপথকে নিরাপদ ও নির্বিঘœ রাখতে প্রশাসনিক উদ্যোগ, রাজনৈতিক সদিচ্ছা দুটোই দরকার। আমরা আশা করবো দ্রুতই নৌপথের নিরাপত্তায় সংশ্লিষ্টরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। চাঁদাবাজ-দুর্বৃত্তরা যেন কোনোভাবেই রাজনৈতিক আশ্রয় ও প্রশাসনিক প্রশ্রয় না পায় তা নিশ্চিত করতে হবে।