শহরের বিভিন্ন এলাকায় চোরের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। পশ্চিম হাজীপাড়া, মল্লিকপুর, নতুন কোর্ট পয়েন্ট এলাকা, ইলেকট্রিক সাপ্লাই এলাকা, বাঁধনপাড়া, বনানীপাড়া, ষোলঘর, নতুনপাড়াসহ বেশকিছু এলাকায় চুরির ঘটনায় এলাকাবাসী আতঙ্কে রয়েছেন।
জেলা পুলিশের মাসিক অপরাধ পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত বছরের দায়েরকৃত ২ হাজার ১৮৬টি মামলার মধ্যে ৯১টি মামলা বড় ধরনের চুরির ঘটনার জন্য দায়ের করা হয়েছিল। তার মধ্যে রয়েছে ১৫টি সিঁধেল চুরি, গবাদি পশু চুরি, গাড়ি চুরি, অন্যান্য চুরির ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা ৭৬টি। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে দায়েরকৃত ১৫৮টি মামলার মধ্যে চুরির ঘটনায় ১০টি, সিঁধেল চুরি ১টি ও অন্যান্য চুরি ৯টি।
ফেব্রুয়ারি মাসে দায়েরকৃত ২৩৫টি মামলার মধ্যে চুরির ঘটনায় ৯টি মামলা এবং সিঁধেল চুরি ৩টি ও অন্যান্য চুরি ৬টি।
শহরের নতুন কোর্ট এলাকায়ও চোরের উৎপাত বেড়েছে। প্রতি রাতে চোরের উপদ্রবে এই এলাকার মানুষের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। নিয়মিত আতঙ্কে রাত কাটাতে হয়। শহরে চুরির ঘটনায় মানুষজন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা বলেন, বর্তমান সময়ে চোরের যে উপদ্রব বেড়েছে তা অতীতের চেয়ে অনেকগুণ বেশি। শহরে চুরির ঘটনা প্রতি রাতেই কোনো না কোনো এলাকায় ঘটে চলেছে। এ ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনের নজরদারি আরো জোরদার করতে হবে। শহরের প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় পুলিশের টহল বাড়াতে হবে।