স্টাফ রিপোর্টার ::
জেলা আ.লীগ সভাপতি মতিউর রহমান বলেছেন, ‘আমি এলাকায় গণসংযোগ করে আসছি। আমার প্রচারণা পত্র-পত্রিকায় তেমন একটা আসে না, না আসলে একটা বিভ্রান্তি থেকে যায় ভোটারদের কাছে। বিভ্রান্তির একটা কারণও আছে। আমিও সেখানে মনোনয়ন প্রার্থী ছিলাম। অনেকে কল্পনা করেও অনেক কিছু রটায়। যে আমি সমর্থন পাইনি, তাই আমি বিরুদ্ধে আছি। আমার সব জায়গায় যাওয়া সম্ভব হয় না। নির্বাচনী এলাকার সব জায়গায় যোগাযোগ ভাল না থাকায় যেতে পারিনি। আমি নৌকার পক্ষে কাজ করছি Ñ এ কথাটা পত্র-পত্রিকায় প্রচার হলে মানুষ জানবে আমি নৌকার পক্ষেই কাজ করছি। নৌকার বিজয় নিশ্চিত করার জন্য আমার জেলা নেতৃবৃন্দকে নিয়ে সব এলাকায় ঝাঁপিয়ে পড়েছি। নৌকার বিজয় নিশ্চিত হওয়ার আগে পর্যন্ত এই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবো আমরা। নৌকা প্রতীকে ড. জয়া সেনগুপ্তাকে নির্বাচিত করার জন্য আমাদের এই আহ্বান।’
দিরাই-শাল্লা উপনির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ড. জয়া সেনগুপ্তার পক্ষে জেলা আ.লীগ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপর্যুক্তকথাগুলো বলেন মতিউর রহমান। মঙ্গলবার সকালে শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাঠাগার মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সাবেক এমপি মতিউর রহমান আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে কোনো কোন্দল নেই। আমরা সকলে মিলে আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী ড. জয়া সেনগুপ্তার নৌকা প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। আওয়ামী লীগের সমর্থকদের নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদকসহ জেলা নেতৃবৃন্দ অনেকেই প্রচারণায় আছেন। ব্যক্তিগত যদি কারো কোনো দ্বিমত থাকে, সেটা ভুলে যেতে হবে। এই নৌকা জয়া সেনগুপ্তার নয়, এই নৌকা শেখ হাসিনার নৌকা, এই নৌকা স্বাধীনতার প্রতীক, এই নৌকা বাঙালি জাতির ঐক্যের প্রতীক মনে করে নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করতে হবে। আমাদের মধ্যে অনেকে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব করেন। কেউ কেউ বলেন আওয়ামী লীগের মধ্যে গ্রুপিং আছে। আমিও বলবো গ্রুপিং থাকে প্রত্যেক দলেই। আর আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় দল, গ্রুপিং হলেই দল আরো শক্তিশালী হয়ে উঠে। গ্রুপিং হয় নেতৃত্ব নিয়ে, কিন্তু জাতীয় ইস্যুতে, জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কোনো সময় গ্রুপিং করে না। এই নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের মধ্যে কোনো গ্রুপিং নেই।
আলহাজ্ব মতিউর রহমান বলেন, আমাদের সাংবাদিকরা সংবাদপত্রের মাধ্যমে প্রত্যেক এলাকার প্রত্যেক নেতা-কর্মীদের মাঝে আমাদের ঐক্যতা পৌঁছে দিবেন। এবার আওয়ামী লীগের সমর্থিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ড. জয়া সেনগুপ্তার বিজয়ের মধ্যদিয়ে আমারা এটাই প্রমাণ করবো, বাংলাদেশের মানুষ শেখ হাসিনার যে উন্নয়ন, এই উন্নয়ন অব্যাহত রাখার জন্য তাঁর মনোনীত প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়ী করবো। আমাদের নির্বাচনী এলাকায় ভোটারদের প্রতি আহ্বান থাকবে, তাঁরা যেন তাদের দায়িত্ব নিজ উদ্যোগে পালন করেন। এই দায়িত্ব শুধু ভোট দেয়ার দায়িত্ব নয়, জাতির উন্নয়নের অগ্রগতির দায়িত্ব। উন্নয়ন অব্যাহত রাখার জন্য এই দায়িত্ব পালন করতে হবে সকলের।’
সংবাদ সম্মেলনে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুট বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বড় সংগঠন, আমাদের মধ্যে রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা থাকতে পারে, রাজনৈতিক বিরোধ থাকতে পারে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ। আমরা আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী ড. জয়া সেনগুপ্তাকে নৌকা প্রতীকে জননেত্রী শেখ হাসিনার মুখ উজ্জ্বল করার জন্য পাস করাবো। সে জন্য যা করতে হয়, যতটুকু শ্রম দিতে হয়, আমরা দেবো। আমরা জয়া সেনগুপ্তার নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রচারণা করবো, যাতে নির্বাচনে ড. জয়া সেনগুপ্তাকে জয়ী করতে পারি। সে জন্য আমাদের চেষ্টার কোনো ত্রুটি থাকবে না। নির্বাচনে আমাদের মধ্যে কোনো বিভেদ নেই, কোনো গ্রুপিং নেই। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ। আমরা জয়া সেনগুপ্তাকে বিপুল ভোটে জয় লাভ করাবো, ইনশাল্লাহ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা অমল কর।