1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১১:০৮ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

বসন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় : শিক্ষক-শ্রেণিকক্ষ সংকট, পাঠদান ব্যাহত

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২১ মার্চ, ২০১৭

হাসান বশির ::
শ্রেণিকক্ষ সংকট ও শিক্ষক স্বল্পতার কারণে ব্যাহত হচ্ছে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বাদাঘাট দক্ষিণ ইউনিয়নের বসন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান। প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি থেকে শুরু করে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করা হয় বিদ্যালয়টিতে। অষ্টম শ্রেণি পর্যায়ের এ বিদ্যালয়ে শিক্ষকের পদ ১৪টি কিন্তু শিক্ষক আছেন মাত্র ৫জন। প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণিসহ ৯টি শ্রেণি কক্ষের মধ্যে শ্রেণিকক্ষ আছে মাত্র ৬টি। অন্যান্য স্টাফ মিলিয়ে মোট শূন্য পদের সংখ্যা ১২টি।
জানা যায়, ২০১৪ সালে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সরাদেশের ১২৭টি বিদ্যালয়ের ন্যায় বসন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতেও ৬ষ্ঠ শ্রেণির ক্লাস কার্যক্রম শুরু করে। পর্যায়ক্রমে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীত করা হয়। তবে উন্নীত হয়নি পাঠদান ব্যবস্থা, শিক্ষক সংযুক্তি, নিয়োগ।
২০ মার্চ সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, স্কুলটির দু’তলা ভবনের নিচ তলায় ২টি, উপর তলায় ৩টিসহ মোট ৫টি শ্রেণিকক্ষ রয়েছে। এছাড়া ১টি অফিস কক্ষ রয়েছে। বিদ্যালয়ের ধরণ অনুযায়ী যেখানে ৯টি শ্রেণিকক্ষ প্রয়োজন সেখানে শ্রেণিকক্ষ রয়েছে মাত্র ৫টি। ফলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস কার্যক্রম পরিচালনা ব্যাহত হচ্ছে।
অপরদিকে ১৪ শিক্ষকের স্থলে কর্মরত রয়েছেন মাত্র ৫জন। এ ৫জন শিক্ষক পাঠদানে হিমশিম খাচ্ছেন। এসএমসি’র উদ্যোগে ২জন প্যারা শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। স্কুল কমিটিই তাদের সম্মানীভাতা দিচ্ছেন।
শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে স্কুল সংলগ্ন পুরনো একটি পরিত্যক্ত টিনসেডঘরে ৫ম ও ৬ষ্ঠ শ্রেণির ক্লাস কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এলাকাবাসীর উদ্যোগে এ ব্যবস্থা করা হয়েছে।
শিক্ষা বিভাগ জানায়, প্রাথমিক শিক্ষাস্তর অষ্টম শ্রেণিতে উন্নীতকরণের লক্ষ্যে ২০১৪শিক্ষা বর্ষ থেকে ৬ষ্ঠ শ্রেণি খোলা ও উক্ত বিদ্যালয়সমূহে ২জন করে বি.এড. শিক্ষক সংযুক্তি, পদায়ন আদেশ হয়। আদেশ মোতাবেক ২জনকে উক্ত বিদ্যালয়ে সংযুক্তি করা হলেও ১বছর যেতে না যেতেই ১শিক্ষককে অন্যত্র বদলি করা হয় এবং ১জনকে ওই স্কুল থেকেই সংযুক্তি দেয়া হয়। এমন অবস্থায় চলতি মাসে বদলি হয়েছেন ভারপ্রপ্ত প্রধান শিক্ষক মুহসিনা খানম। তাই বর্তমানে ৯ শ্রেণির পাঠদানের জন্য শিক্ষক আছেন ৫জন। এর মধ্যে ১জন চিকিৎসা ছুটিতে যাওয়ায় হিসাব অনুযায়ী কর্মরত রয়েছেন ৪ শিক্ষক।
বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদ আযাদ জানান, মঞ্জুরীকৃত পদে ১জন প্রধান শিক্ষক, ১জন প্রাক্ প্রাথমিক শিক্ষক ও ১২জন সহকারি শিক্ষক কর্মরত থাকার কথ॥ কিন্তু শিক্ষক স্বল্পতায় পাঠদান কার্যক্রমে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। বর্তমানে একজন শিক্ষিকা ২মাসের জন্য চিকিৎসা ছুটি নিয়েছেন। তাই ৪জন শিক্ষক দিয়ে চলছে ৯ শ্রেণির পাঠ কার্যক্রম।
স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এটিএম শফিকুল ইসলাম জানান, শিক্ষক স্বল্পতার কারণে এসএমসির উদ্যোগে ২জন প্যারা শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এসএমসির পক্ষ থেকেই তাদের সম্মানী দেয়া হচ্ছে। গরিব এলাকা তারপরও স্কুল পরিচালনার স্বার্থে কষ্টার্জিত টাকায় প্যারা শিক্ষকদের বেতন দিতে হচ্ছে।
বাদাঘাট দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান এরশাদ মিয়া জানান, বিদ্যালয়টিতে শিক্ষক সংকট রয়েছে। কর্তৃপক্ষ এ স্কুলটিতে শিক্ষক দেবেন বলে আশা করছি।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ছরুয়ার আলম জানান, ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ১জন, সহকারি প্রধান শিক্ষক গণিত ও সাধারণ বিজ্ঞান ১জন, সহকারি শিক্ষক বাংলা, ইংরেজি, সামাজিক বিজ্ঞান ১জন, সহকারি শিক্ষক কৃষি, গার্হস্থ্য ১জন, সহকারি শিক্ষক ধর্ম প্রাপ্যতা সাপেক্ষে প্রতিটি ধর্মের জন্য ১জন, সহকারি শিক্ষক শরীরচর্চা ১জন অর্থাৎ ৭জন শিক্ষক ও নি¤œমান সহকারি-কাম-কম্পিউটার অপরারেটর ১জন, এমএলএসএস (গার্ড/মালি/ঝাড়–দার ১জন, আয়া বালিকা বিদ্যালয়ের জন্য ১জন সহ মোট ৯জন স্টাফের মঞ্জুরীকৃত পদ আছে ৬ষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের জন্য।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা অনুকূল চন্দ্র দাস বলেন, বড় বড় শহরের বস্তি এলাকা, চর ও হাওর এলাকা, চা বাগান এবং দুর্গম এলাকা হিসেবে প্রাথমিকভাবে মোট ১২৭টি বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান কার্যক্রম শুরু আদেশ হয় গত ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪খ্রি.। বর্তমানে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় শুধুমাত্র ভাদেরটেক ও বসন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অষ্টম শ্রেণিতে উন্নীত করা হয়েছে। বাফক স্কুলগুলো পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত। তবে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে উন্নীত করার জন্য বেশ কিছু স্কুলের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। বসন্তপুর স্কুলের বিষয়ে বলেন, শিক্ষক স্বল্পতা ও শ্রেণিকক্ষ সংকট আছে এটি সত্য।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com