1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ০৯:১৭ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

পদ্মা সেতুর ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা জানাতে দেড় মাস সময়

  • আপডেট সময় সোমবার, ২০ মার্চ, ২০১৭

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
পদ্মা সেতু প্রকল্পে ‘দুর্নীতির মিথ্যা গল্প’ ফাঁদার নেপথ্যে ‘প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীদের’ বিষয়ে তদন্তে কমিটি বা কমিশন গঠনে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা তা জানতে সময় বেধে দিয়েছেন হাই কোর্ট।
স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে জারি করা এক রুলের শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাই কোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেয়।
আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস জানান, রুলের বিবাদী মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, যোগযোগ সচিব, দুদক চেয়ারম্যান ও আইজিপিকে আগামী ৭ মের মধ্যে এবিষয়ে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
দৈনিক ইনকিলাবে ‘ইউনূসের বিচার দাবি’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদনসহ কয়েকটি পত্রিকার খবর আমলে নিয়ে একই বেঞ্চ গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এই রুল জারি করে।
রুলে ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে ১৯৫৬ সালের ইনকোয়ারি অ্যাক্টের তৃতীয় অনুচ্ছেদসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আইন অনুযায়ী কমিটি বা কমিশন গঠনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়।
ওই দিন বিবাদীদেরকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দেওয়ার নির্দেশের পাশাপাশি কমিটি বা কমিশন গঠনে কী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে নির্দেশ দেয় আদালত।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো প্রকল্প পদ্মা সেতুতে অর্থায়নের জন্য বিশ্ব ব্যাংক চুক্তি করেও দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে তা বাতিল করে। পরে বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের তদারকির পাঁচ কোটি ডলারের কাজ পেতে এসএনসি-লাভালিনের কর্মীরা ২০১০ ও ২০১১ সালে বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন বলে মামলা হয়েছিল কানাডার আদালতে। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে কানাডার আদালত গত শুক্রবার ওই মামলার তিন আসামিকে খালাস দেয়।
রায়ে বিচারক বলেছেন, এই মামলায় প্রমাণ হিসেবে যেগুলো উপস্থাপন করা হয়েছে সেগুলো ‘অনুমানভিত্তিক, গাল-গল্প ও গুজবের বেশি কিছু নয়’।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবরই বলে আসছেন, পদ্মা সেতু প্রকল্প নিয়ে বিশ্ব ব্যাংকের অভিযোগ তোলা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ এবং এতে বাংলাদেশিরাও জড়িত ছিলেন।
সম্প্রতি সংসদে তিনি বলেন, হিলারি ক্লিনটনকে দিয়ে পদ্মা সেতুতে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন আটকেছিলেন নোবেলজয়ী বাংলাদেশি মুহাম্মদ ইউনূস এবং তাতে বাংলাদেশের এক স¤পাদকেরও ভূমিকা ছিল।
দুর্নীতির ওই ষড়যন্ত্রে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে পদত্যাগে বাধ্য হন সেই সময়ের যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেন। অভিযোগ ছিল সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরীর বিরুদ্ধেও। তখনকার সেতু সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াকে ওই মামলায় কারাগারেও যেতে হয়। তবে তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে দুদকের পক্ষ থেকে তদন্তের পর জানানো হয়।
দুদক চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ায় ২০১৪ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশে পদ্মা দুর্নীতি মামলার অবসান ঘটে। সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াসহ সাত আসামির সবাইকে অব্যাহতি দেয় আদালত।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com